নিউজ ডেস্ক ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৫:৩৬:২৯ খুলনার চিত্র
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে নাটক যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। দুই চিরপ্রতিদ্ব›দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের অনড় অবস্থানে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে কয়েকবার বৈঠক করেও সুরাহা করতে পারেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।
ভারতের প্রস্তাবিত হাইব্রিড মডেলে আয়োজক পাকিস্তান রাজি হলেও সঙ্গে কঠিন কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে তারা। পাক বোর্ডের দাবি ছিল, আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত যদি হাইব্রিড মডেলে খেলে তাহলে আগামী দিনে ভারতের আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলোতে পাকিস্তানও হাইব্রিড মডেলে খেলবে। এ ছাড়া লভ্যাংশ বৃদ্ধির বিষয়টিতো থাকছেই। পাকিস্তানের এমন শর্ত প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত। ফলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি মাঠে গড়ানো নিয়ে কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
এরই মধ্যে নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ওয়ানডে নয়, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে হতে পারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। যেহেতু সূচিপ্রকাশ থেকে অন্যান্য ব্যবস্থাপনা, সব ক্ষেত্রেই ক্রমাগত দেরি হচ্ছে, ওয়ানডের বদলে এই টুর্নামেন্ট টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে নিতে প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।
সেক্ষেত্রে সময় আরও কমে যাবে। এ ছাড়া জনপ্রিয়তার দিক থেকে ওয়ানডের চেয়ে টি-টোয়েন্টির বাজারও ভালো। তবে পুরো বিষয়টিই এখনো জল্পনার পর্যায়ে আছে। যে টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে এত শোরগোল, তার ফরম্যাট এভাবে আদৌ বদলাবে কি না, সেটিও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের বিষয়।
প্রসঙ্গত ভারতের পাকিস্তানে যেতে অনাগ্রহ এবং পাকিস্তানের হাইব্রিড মডেলে অনীহার কারণে সৃষ্টি হওয়া জটিলতায় পড়েছে বৈশ্বিক এই আসর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (Champions Trophy 2025) নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে গত ২৯ নভেম্বর প্রথমবার বৈঠকে বসেছিল আইসিসি। কিন্তু মাত্র ১৫ মিনিটেরও কম সময়ের মাঝে বোর্ড সভা পন্ড হয়ে যায়। জয় শাহ আইসিসির সভাপতি হওয়ার পর তার অধীনে প্রথম সভা হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য বিভিন্ন দেশের ক্রিকেট বোর্ড সভাপতি দুবাই আইসিসির কার্যালয়ে হাজির ছিলেন। কিন্তু স্থগিত হয়ে গেছে সেই সভাও।
গত ৭ ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় সভায় বসার কথা ছিল আইসিসির। কিন্তু সেই সভা নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। আগামী বছরের ফেব্র“য়ারি এবং মার্চে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা। পাকিস্তানে প্রতিযোগিতা না হলে নাম তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু তারা নিজেদের দাবি থেকে পিছিয়ে এসে হাইব্রিড মডেল মেনে নিচ্ছে। কিন্তু ২০৩১ সাল পর্যন্ত ভারতে খেলতে না গিয়ে তাদেরও হাইব্রিড মডেলে নিরপেক্ষ দেশে খেলা আয়োজনের সুযোগ দিতে হবে বলে দাবি করেছিল পিসিবি।