নিউজ ডেস্ক ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৫:১৯:৪৪ খুলনার চিত্র
অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে এক দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক রাকিবুল ইসলাম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোনাডাঙ্গা থানার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৯(১)/৩০ মামলার ২নং আসামি সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুলনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর রিবন খান ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে আদালত থেকে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় খুলনা জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়কারী মোমিনুল ইসলাম বলেন, সোনাডাঙ্গা থানায় দায়ের করা অপহরণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১-এর বিচারক তার এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্র জানায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করে আসছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে কয়েকজন লোক জোরপূর্বক ওই নারীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। অভিযুক্তরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী। তাদের বাঁচাতে তৎকালীন মন্ত্রী অবৈধ প্রভাব বিস্তার করায় চিকিৎসা শেষ হওয়ার আগেই ওই নারীকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে মিথ্যা বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও অপহরণের শিকার ওই নারীর খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী গোলাম রসুল বাদী হয়ে গত ৯ অক্টোবর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগ করেন। পরে আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে নগরীর সোনাডাঙ্গা থানাকে মামলা রুজু করার নির্দেশ দিলে গত ১৭ অক্টোবর ডুমুরিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহম্মেদসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ ওই মামলার ২ নম্বর আসামি।