নিউজ ডেস্ক ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৬:০৫:৩৫ খুলনার চিত্র
হাঁটু প্রতিস্থাপন শুধু একটি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি মানুষের জীবনকে নতুন করে গড়ার এক মাধ্যম। কথাগুলো বলেছেন এভারকেয়ার হাসপাতালের জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারের প্রধান ও অর্থোপেডিক্স বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. এম আলী।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালের আয়োজনে হাঁটু প্রতিস্থাপন সার্জারি নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে রোগী ও চিকিৎসকদের মধ্যে হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় বিশেষজ্ঞরা হাঁটুর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং অস্টিওআর্থ্রাইটিসের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে বড় ধরনের সমস্যা কীভাবে এড়ানো যায় তা নিয়ে পরামর্শ প্রদান করেন। ডা. এম আলী এভারকেয়ার হাসপাতালের হাঁটু প্রতিস্থাপন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন, যেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তিনি রোগীদের সার্জারি পরবর্তী ব্যথার নিরাময় এবং পুনর্বাসন নিয়ে আলোচনা করেন এবং বলেন যে, হাঁটু প্রতিস্থাপন রোগীদের হাঁটুর ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় এবং তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনে।
ডা. এম আলী বলেন, আমাদের জয়েন্ট কেয়ার অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টারে আমরা রোগীদের জন্য সর্বোত্তম এবং ব্যক্তিগত চাহিদার ভিত্তিতে চিকিৎসা নিশ্চিত করি। হাঁটু প্রতিস্থাপন শুধু একটি চিকিৎসা পদ্ধতি নয়, এটি রোগীদের আত্মবিশ্বাস এবং গতিশীলতা ফিরে পেতে সাহায্য করে, এবং তাদের জীবনের মান বাড়ায়।
এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ বলেন, এভারকেয়ার শুধু চিকিৎসা প্রদান করে না, আমরা রোগীদের জীবনমান উন্নত করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাঁটু প্রতিস্থাপন রোগীদের জন্য একটি নতুন জীবন শুরু করার সুযোগ প্রদান করে। আমরা গর্বিত যে, এই আন্তর্জাতিক মানের সেবা বাংলাদেশে প্রদান করছি এবং এজন্য দেশে প্রথম আর্থপ্লাস্টি ইউনিট প্রতিষ্ঠা করেছি, যা এসব রোগীর সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করছে।
এ অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এভারকেয়ার হাসপাতালের পেশেন্ট ফোরামের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল হাঁটুর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস এবং এর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা। রোগী, তাদের পরিবার এবং চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অভিজ্ঞতা শেয়ার করার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এই ফোরামটি আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠানের শেষে রোগী ও তাদের পরিবার বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত সবাই এই ধরনের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বলেন যে, এটি তাদের জন্য অত্যন্ত তথ্যবহুল এবং অনুপ্রেরণামূলক ছিল। এভারকেয়ার হাসপাতাল ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে জনগণের মাঝে আধুনিক চিকিৎসার সুযোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর আশা প্রকাশ করেন।