প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি অনুকূলে না আসলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে না। তবে অনলাইনে শিক্ষাদান কার্যক্রম চলবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) বই বিতরণ উৎসব উদ্বোধনের সময় তিনি এই কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি এই উৎসবের উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী সময়মতো বই বিতরণের ব্যবস্থা করায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পাঠ কার্যক্রম যেন ঠিকমতো চলে সেজন্য আমরা করোনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। তারা যেন নতুন বইটা পায়, নতুন বইয়ে নিজের নামটা লিখতে পারে, নতুন বইয়ের মলাট ওল্টানোর আনন্দটা পায় সেই চেষ্টা আমরা করেছি।’
করোনার কারণে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, স্কুল খোলা সম্ভব না হলে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পাঠদান চলবে। ভর্তির ব্যবস্থাটাও অনলাইনে চলবে।
তিনি বাবা-মায়েদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ছেলেমেয়েদের সময় দেবেন। তারা যেন খেলাধুলা করতে পারের সেই ব্যবস্থা করবেন। তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকটা খেয়াল রাখবেন। তিনি সবাইকে মাস্ক পরার অনুরোধ জানান। তবে শুধু ঘরে বসে না থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকসহ সবাইকে খোলা ও আলো-বাতাসপূর্ণ জায়গায় বের হওয়ার পরামর্শ দেন।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন প্রাথমিক পর্যায়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন।
আগামীকাল বছরের প্রথম দিন ১ জানুয়ারি থেকে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় বই বিতরণ শুরু হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন দিন করে মোট ১২দিন প্রথম থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নতুন বই বিতরণ করা হবে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও যথাসময়ে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনা মূল্যে নতুন বই তুলে দিচ্ছে সরকার।