তালায় প্রাথমিক শিক্ষার এক করোনাযোদ্ধা শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম সরদার। তিনি সাতক্ষীরার তালা উপজেলার হাজরাকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শিক্ষক আবুল কাশেম ২০০৯ সালে চাকুরীতে প্রথম যোগদান করে অদ্যাবধি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের সাথে নিজেকে জড়িত রেখেছেন। করোনাকালীন সরকারি খাদ্য সহায়তা কমিটির সদস্য হিসেবে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুঃস্থদের তালিকা প্রণয়ন ও যাচাই বাছাই করেছেন। তিনি একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, খেলার মাঠে তরুণদের উদ্দেশ্যে করোনা প্রতিরোধে বক্তব্যদান, তাছাড়া নিজস্ব অর্থায়নে গরীব অসহায় শিক্ষার্থীদের ও কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। করোনাকালীন শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেওয়া ও সংসদ টিভিতে ঘরে বসে শিখি পাঠদান দেখতে উদ্বুদ্ধকরণে নিয়মিত হোম ভিজিট করেন। জীবাণুনাশক স্প্রে করে নিজ এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করেন। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে সাবান ও মাস্ক বিতরণ করেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে যখন সমগ্র পৃথিবী স্থবির তখন কোমলমতি শিশুদের নিরাপত্তার কথা ভেবে ১৭ মার্চ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। বন্ধকালিন শিশুদের লেখাপড়া চলমান রাখার প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে তিনি শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনে পড়ানো ও পরামর্শদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তার ফেইসবুক আইডিতে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন তিনি। প্রতিনিয়ত তিনি মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার অগ্রগতিসহ স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে হাজরাকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমা খাতুন জানায়, আবুল কাশেম স্যার আমাদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, ভিজিটে আসেন ও মোবাইল ফোনে পড়ান।
শিক্ষক মোঃ আবুল কাশেম সরদার বলেন, এগুলো আমি ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা ও নৈতিক দায়িত্ববোধ থেকেই করে থাকি।
হাজরাকাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রীতা দাস সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালে তিনি শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ।জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হোম ভিজিট অব্যাহত রেখেছেন এবং গরীব শিক্ষার্থীদের মাঝে অর্থ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন।