সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার সৈয়দ দিদার বখ্ত ম্যাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেছার আলীর বিরুদ্ধে আয়া পদে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগে জেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক তদন্তে সত্যতা মিলেছে। জানা যায়, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়া পদের জন্য গত ০৩/০৭/২০২০ তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। উল্যেখ্য একের পর এক নিয়োগ বানিজ্যে লোভ বাড়িয়ে দিতে এর আগেও তিন বার এই বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তির প্রেক্ষিতে উপজেলার সুভাষিনী গ্রামের আব্দুল্লাহ আল-মামুনের স্ত্রী উম্মে হাবিবা উক্ত পদের জন্য আবেদন করে। উম্মে হাবিবার মত আরোও অনেকে উক্ত আয়া পদে আবেদন করিলে উচ্চ টাকার রফাদফায় সরকারী বিধি মোতাবেক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে! এদিকে প্রধান শিক্ষক ঔ পদে নিয়োগের জন্য উম্মে হাবিবার নিকট থেকে চুক্তি অনুযায়ী ৪,০০,০০০/- টাকা নগদ গ্রহন করে। নিয়োগ বোর্ডের দিন ও ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ সন্নিকটে থাকায় অন্য এক প্রার্থীর নিকট থেকে ১১,০০,০০০/- টাকার বিনিময়ে নিয়োগের পায়তারা করে। এদিকে ঘটনাটি প্রকাশ হলে উম্মে হাবিবার স্বামীর সহায় সম্পত্তির সমূদয় টাকা ফেরত তো দুরের কথা তার স্ত্রীকে বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। হাবিবার স্বামী উপায়ন্ত না পেয়ে এ বিষয়ে গত ইং ১৬/০২/২০ তারিখে একটি লিখিত অভিযোগ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দায়ের করিলে বিষয়টি তদন্তের জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুনের নিকট প্রেরন করা হয়। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত শেষে গত ইং ২৭/০৬/২০ তারিখে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন টাকা গ্রহনের সত্যতা পাওয়ায় বিধি বর্হিভ‚ত নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করেন। এদিকে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদনকে উপেক্ষা করে অবৈধ অর্থের জোরে আগামী ইং ২৭/০৮/২০ তারিখে নাম সর্বস্ব নিয়োগ বোর্ডের পায়তারা চালাচ্ছে। সরকারী বিধি বর্হিভ‚ত নিয়োগ বানিজ্যকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশাংখা করছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানা গেছে, উম্মে হাবিবা যোগ্যতা অনুযায়ী প্রাপ্যদার হলেও অবৈধ অর্থের কাছে সরকারী নিয়োগ বিধি আজ থোঢ়ায় কেয়ারে!!!