“Primary Education is the base of higher education” “প্রাথমিক শিক্ষা উচ্চ শিক্ষার ভীত” শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড, শিক্ষক মানুষ গড়ার কারিগর, আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতি গঠনের কারখানা। এরকম অসংখ্য শিক্ষা সম্পর্কিত নীতি কথা রয়েছে। উপমহাদেশের প্রাথমিক শিক্ষার ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে এই দেশে প্রত্যেক কমিউনিটির কতিপয় শিক্ষা অনুরাগী ব্যক্তিবর্গ নিজেদের সন্তানদেরকে সুশিক্ষিত করতে তাঁদের স্ব স্ব কমিউনিটিতে পাঠশালা নামে প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করেছিলেন। ধাপে ধাপে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়ন ঘটতে ঘটতে বিশ^ায়নের এই যুগে বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা বলা যায় বিশে^র অন্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেদেরকে স্ব^-মহিমায় উজ্জ্বল রাখতে সক্ষম হচ্ছে। প্রথম দিকে গুরু ট্রেনিং থেকে শুরু করে প্রাথমিক শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধী করে এবং বিশে^র অন্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষক এবং কর্মকর্তাদের বিগত দশক ধরে শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যে বিষয় গুলোর উন্নয়ন হচ্ছে সেটির চুম্বকাংশ তুলে ধরছি।
প্রথমত ঃ একজন শিক্ষক কর্মকর্তা যখন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদকের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জেলা, উপজেলা, বিভাগ সর্বোপরি জাতীয় পর্যায় একটি নির্দিষ্ট নিয়মের ভিতরে থেকে প্রথম স্থান অর্জন করে বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন তখন ঐ শিক্ষক তার নিজের উপর আত্নবিশ^াস রাখতে পারছেন এবং একটি জেলা এবং উপজেলা থেকে তিনি যখন এই সুযোগটি পাচ্ছেন তখন তার এই অর্জনের ফলে অন্য শিক্ষক কর্মকর্তা তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন এবং নিজেরাও তাদের স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করলে যে বিদেশে পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাওয়া যায় এ বিষয়ে তারা অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
দ্বিতীয়ত ঃ একজন শিক্ষক বা কর্মকর্তা যখন বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন তখন ঐ শিক্ষক বা কর্মকর্তা ভ্রমণকৃত দেশের শিক্ষার সার্বিক বিষয়গুলোর ইতিবাচক দিকগুলো আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রয়োগ করার জন্য শিক্ষা প্রশাসন তথা সরকারের নীতি নির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরছেন বাস্তবায়নের নিরিখে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার অবব্যহিত পর পরই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ০১/০৭/১৯৭৩ সালে এ দেশের শিক্ষা কাঠামোর ভীতকে স্থায়ী সুদৃঢ় এবং উন্নত করতে তিনি একসাথে ৩৭,৫০০ বিদ্যালয়কে একসাথে সরকারিকরণ করার যে ঐতিহাসিক সৎ সাহস দেখিয়েছিলেন তার মাধ্যমেই আজ বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা বিদেশ পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন এবং নিজেদেরকে গ্লোবালাইজেশনের সাথে তাল মিলাতে পারছেন।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার শিক্ষক কর্মকর্তাদের বিদেশে প্রশিক্ষণের যে ব্যবস্থা চালু করেছেন সেটি অব্যাহত রাখবেন এবং ব্যাপকভাবে শিক্ষক কর্মকর্তাদের ভালো কাজের স্বীকৃতি স্বরুপ ঐ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদেরকে, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধণার আয়োজন করবেন। প্রতিটি উপজেলার অন্য সকল শিক্ষক কর্মকর্তারা তার দেখা দেখি নিজেরাও স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করারা জন্য অনুপ্রাণিত হবেন।
২০১৯ সালের ৬-১২ সেপ্টেম্বর ভিয়েতনামে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি। যদিও নিজে বাংলাদেশের খ্যাতনামা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নটরডেম কলেজ ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের লেখাপড়া করে প্রাথমিক শিক্ষক হিসাবে নিয়োজিত হয়েছি কিন্তু দেখি বন্ধুরা উচ্চ পদে অন্য Department আসীন হয়েও বিদেশে যাওয়ার সুযোগ পায়নি তখন নিজেকে একটু হলেও আলাদা ভাবতে থাকি।