সাতক্ষীরায় অনিয়মের মাধ্যমে তালা উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক (পরিচ্ছন কর্মী) পদে লোক নিয়োগের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই াভিযোগ করেন তালার জালালপুর গ্রামের মোঃ অব্দুস সাত্তার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তালা উপজেলার জালালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির একজন সদস্য। ১৯৬৪ সালে এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী শিক্ষায় অনগ্রসর এই এলাকায় প্রতিষ্ঠানটি স্থাপন করেন। শুরু থেকে প্রতিষ্ঠানটি এলাকার গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে সুনামের সাথে পাঠদান করে আসছে। কিন্তু বিগত ৯ বছর যাবত পার্শ্ববর্তী এলাকার একজন নিন্মশিক্ষিত ব্যক্তি ক্ষমতার দাপটে শিক্ষকদের প্রভাবিত করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে অসীন হয়। সেই থেকে বিদ্যালয়ে আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ, নিয়ম শৃঙ্খলার অবনতি এবং পাঠদানের নিন্মগতিতে এলাকার সচেতন মহল ক্ষুব্ধ। বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তর, খুলনা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন ফল পাওয়া যায়নি।
আব্দুস সাত্তার অভিযোগ করে বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ রবিউল ইসলাম মুক্তি কমিটির অন্যান্য সদস্যদেরকে প্রভাবিত করে দশ লক্ষ টাকার আর্থিক সুবিধা নিয়ে তার পচ্ছেন্দের লোক দোহার গ্রামের কার্তিক চন্দ্র বাছাড়ের ছেলে বাবু বাছাড়কে অবৈধভাবে অফিস সহায়ক (পরিচ্ছন কর্মী ) পদে নিয়োগের পায়তারা করছেন। তার বিকল্প প্রার্থী হিসাবে রখেছেন জালালপুর গ্রামের স্বপন দত্তের ছেলে বিপ্লব কুমার দত্তকে। মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে ছুটির মধ্যেও তিনি এই অবৈধ নিয়োগ কার্যক্রম অব্যহত রেখেছন। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য আমাকে গোপন করে বিভিন্ন রেজুলেশনে ৪ নং সদস্য হিসাবে আমার স্বাক্ষর জাল করেছেন। তাছাড়া আমাকে গোপন করে নিজেকে পুনঃরায় সভাপতি রেখে কমিটি করার পায়তারা চালাচ্ছেন। এছাড়া তিনি বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল করিম মোড়লের নাম বাদ দিয়ে প্রতিষ্ঠাতা শুন্য দেখিয়েছেন। যা এলাকার সচেতন মহল কোন ভাবেই মানতে পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, উক্ত অবৈধ নিয়োগ প্রতিক্রয়া বন্ধের জন্য আমি গত ২৮ আগষ্ট তালা সহকারি জজ আদঅলতে ৫০/২০ নং একটি দেওয়ানী মামলা রুজু করেছি। যার নোটিশ সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক ইতিমধ্যে পেয়েছেন। এছাড়া বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ হয়ে যাবে। সে কারনে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য তারা তড়িঘড়ি করে আগামী ১২ সেপ্টেস্বর নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য্য করেছেন। তিনি এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিলের জন্য সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, ও নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।