• ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন

admin
প্রকাশিত মার্চ ৫, ২০২২, ১২:৫৫ অপরাহ্ণ
তালার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টা সাংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার তালার জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৫ মার্চ) সকাল ১১টায় তালার কপোতাক্ষ টাইমস কার্যালয়ে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক ইন্দ্রজীৎ দাশ বাপী সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনে পরাজন নিশ্চিত জেনে ও বিগত দিনের দূর্ণীতি, অনিয়ম ঢাকতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন সাবেক সভাপতি এস কে কামরুল ইমলাম ও প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান।
ইন্দ্রজীৎ দাশ বলেন, গত ৩ মার্চ বিকালে সাংবাদিক সম্মেলনে এস কে কামরুল ইসলাম তার পিতা কে প্রতিষ্ঠাতা ও জমিদাতা দাবি করেন যা আদেও সত্য নয়। এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭২ সালে এবং প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল উদ্দীন। আব্দুল মালেক যে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার না খাঁন এ সবুর জুনিয়ার হাইস্কুল।
তিনি বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকেই প্রধান শিক্ষক পক্ষপাতমূলক আচরণ করে আসছেন। তার দূর্ণীতির খতিয়ান বেরিয়ে আসবে বলে সাবেক সভাপতিকে নির্বাচিত করানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনি। প্রকাশ্যে সাবেক সভাপতির পক্ষে ভোট চেয়ে বেড়িয়েছেন এমনকি নির্বাচনের দিনেও পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান। তিনি অবৈধ পন্থায় সাবেক সভাপতিকে নির্বাচিত করানোর চেষ্টা করলে আমি প্রতিবাদ করি। ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য লাঞ্চিতের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে হেয় পতিপন্ন করার চেষ্ঠা করছেন। প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান একজন নিরক্ষর ও বিতর্কিত ব্যক্তিকে সভাপতি পদে দাঁড় করিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দূর্ণীতি ঢাকতে ও সরকারী অর্থ লোপাটের জন্য বর্তমান সভাপতিকে পাশ কাঁটিয়ে সাবেক সভাপতির স্বাক্ষরে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে নয়ছয় করেছেন। যা বিগত দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকা সহ অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি এসকল ঘটনার সুষ্ট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
উল্লেখ্য, ২৮ ফেব্রুয়ারী তারিখে জেঠুয়া জাগরণী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে

নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। প্রধান শিক্ষকের পক্ষপাতিত্বের কারণে পরিস্থিতি খারাপ হলে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন স্থগিত করেন।
এর আগে অন্য প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থী এস কে কামরুল ইসলাম ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।