জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন সব পরীক্ষা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত বলে ঘোষণা করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পরীক্ষার সময়সূচি পরবর্তীকালে জানিয়ে দেওয়া হবে। ২১ জানুয়ারি, শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান বলেন, আমরা সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকে দুই সপ্তাহের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও এর অধিভুক্ত কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরীক্ষাসমূহও এখন বন্ধ রাখায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে অনলাইনে ক্লাস চলবে।
এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফিংকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আমরা স্কুল-কলেজ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলাম। যদিও এখন দেখা যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে সংক্রমণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসছে। এটা ভীষণই আশঙ্কাজনক। এমন অবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আগামী দুই সপ্তাহ আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তিনি আরো বলেন, প্রতিদিন আক্রান্তের হার বেড়ে যাচ্ছে। ১১ দফা দেওয়ার পরেও সাধারণ মানুষ তা মানছে না। এভাবে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকলে হাসপাতালের বেড খালি থাকবে না। তাই বইমেলা, স্টেডিয়াম কিংবা পর্যটন এলাকায় গেলে অবশ্যই সকলকে সঙ্গে করে টিকা কার্ড নিয়ে যেতে হবে।
পরিস্থিতি বুঝে আবারো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে দুই সপ্তাহ পর সিদ্ধান্ত হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এদিকে শুক্রবার, ২১ জানুয়ারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে পাঁচ দফা জরুরি নির্দেশনা জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। নির্দেশনাগুলো হলো-
১. ২১ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশের সব স্কুল, কলেজ বন্ধ থাকবে।
২. বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
৩. রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় সমাবেশ ও অনুষ্ঠানসমূহে ১০০ জনের বেশি মানুষের সমাবেশ করা যাবে না। এসব ক্ষেত্রে যারা যোগদান করবেন, তাদের অবশ্যই করোনা টিকার সনদ অথবা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে করা পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ থাকতে হবে।
৪. সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসমূহে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অবশ্যই করোনা টিকার সনদ গ্রহণ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে দায়িত্ব বহন করবে।