সাতক্ষীরার তালা উপজেলার নগরঘাটা এলাকার একটি গাছে ঝুলছে ‘নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা’র নামে ভৌতিক সাইনবোর্ড। ওই বোর্ডে মাদরাসাটির ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়েছে বলে উল্লেখ আছে। সেই হিসেবে মাদরাসাটির বয়স ৩৭ বছর। তবে এই দীর্ঘ সময়ে মাদরাসাটি দেখেনি কেউ। মাঝে মাঝেই মাদরাসাটির নামে এমন ‘রহস্যজনক’ সাইনবোর্ড দেখা যায় বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানায়, ২০ সেপ্টেম্বর ইউপি নির্বাচনের পর থেকে নগরঘাটা ঈমানের মোড়সংলগ্ন রাস্তার পাশের একটি গাছে সাইনবোর্ড ঝুলছে। তবে সাইনবোর্ডটি কে বা কারা কখন গাছে টাঙিয়েছে তা কেউ বলতে পারেনি।
এলাকাবাসী জানায়, নগরঘাটায় মাদরাসা প্রতিষ্ঠার জন্য সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল করিম বিশ্বাস জমি দান করেছিলেন বলে তারা শুনেছেন। কিন্তু গত প্রায় ৩৭ বছরেও সেই জায়গায় মাদরাসার কোনো ঘর বা ছাত্র-ছাত্রী দেখেননি। ইউপি নির্বাচনের পরেই হঠৎ করে কোথা থেকে ভৌতিক সাইনবোর্ডটি এই মোড়ের গাছে হাজির হলো।
সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল করিম বিশ্বাস বলেন, তারা তিন ভাই মিলে মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য ১৯৮৭ সালে ১৬৮৯ দাগে ৩১ শতক জমি দান করি। কিন্তু সেখানে ৩৪ বছরেও সেখানে কোনো মাদ্রাসা নির্মাণ করা হয়নি। দলিলে উল্লেখ ছিল যে, মাদরাসা স্থাপন না করা হলে উক্ত দানের এই জমি মালিকদের অনুকূলে ফেরত যাবে।
তিনি আরো বলেন, আমি নির্বাচনে জয়ী হতে না পারায় একটি মহল তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। এরআগেও ভৌতিকভাবে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপনের ঘটনায় ২০২০ সালে ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ওয়ার্ড সদস্য ও জমিদাতা আব্দুল করিম বিশ্বাস তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও পাটকেলঘাটা থানার ওসি বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছিলাম। এবারও তারা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করার পায়তারা করে যাচ্ছে।
নগরঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান লিপু বলেন, নগরঘাটা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদ্রাসা নামে একটি প্রতিষ্ঠান করার জন্য অনেক আগে সাবেক সদস্য ও তার ভাইয়েরা মিলে জমি দান করেছিলেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই জায়গায় প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা করা হয়নি। এখন আবার কারা মাদ্রাসা করার জন্য এই ভৌতিক সাইনবোর্ড ঝুলালো সেটা তার জানা নেই।