কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাড়ির দরজা ভেঙে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক সাংবাদিককে কারাদণ্ড দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। ডিসি সুলতানা পারভীনসহ সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের তলব করার আদেশ চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সাংবাদিক আরিফকে ৫০ লাখ ক্ষতিপূরণ আদায় করে দিতে বলা হয়েছে।
রোববার (১৫ মার্চ) অনলাইন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক হারুন উর রশীদের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত হাসান জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন।
রিটে ফৌজদারি কার্যবিধি, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং সংবিধানের ৩১, ৩২, ৩৫ এবং ৩৬ অনুচ্ছেদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া রিটে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সাজার নথি তলব করতে বলা হয়েছে।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, বিচারপতি আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে। ১৩ মার্চ মধ্যরাতে কুড়িগ্রাম ডিসি অফিসের দুই-তিনজন ম্যাজিস্ট্রেট ১৫-১৬ জন আনসার সদস্যকে নিয়ে সাংবাদিক আরিফুলের দরজা ভেঙে তার বাসায় প্রবেশ করেন। তবে তারা কোনো তল্লাশি অভিযান চালাননি। পরে ডিসি অফিসে নেওয়ার পর তারা দাবি করেন, আরিফুলের বাসায় আধা বোতল মদ ও দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা পাওয়া গেছে। আরিফুলকে রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়।
জানা যায়, জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন একটি পুকুর সংস্কার করে নিজের নামে নামকরণ করতে চেয়েছিলেন। আরিফুল এ বিষয়ে নিউজ করার পর থেকেই তার ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন ডিসি। এছাড়া, সম্প্রতি জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে রিপোর্ট করতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক আরিফ। এ বিষয়ে জানতে পেরে জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে তাকে বেশ কয়েকবার ডেকে নিয়ে সতর্ক করা হয়।