আগামীকাল থেকে সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২০ এর লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে।
এরমধ্যে ১ম ধাপে ২২ এপ্রিল ২২ জেলায় ও ২য় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং ৩রা জুন ৩য় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায় ।
আজ সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো জাকীর হোসেন এ তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছেন ১৩ লাখ নয় হাজার ৪৬১ জন পরীক্ষার্থী। তিন ধাপে মোট ৬১ টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা ব্যাতীত) লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষে ৬১ জেলায় তিন ধাপে এক হাজার ৮১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ।
তিনধাপের এই নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো বলেন, ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য প্রয়োজন মানসম্মত শিক্ষক। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকশিত করার জন্য মানসম্মত শিক্ষকের কোন বিকল্প নেই।’
জুলাই-২০২২ মধ্যেই ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী।
এদিকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী বছর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি ও ইবতেদায়ী) পরীক্ষা হবে কিনা সে বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলমসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭ টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। ইতোমধ্যে সারাদেশে অবসরজনিত কারণে আরো দশহাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষক ঘাটতি নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় পূর্বের বিজ্ঞপ্তির শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে; এই নিয়োগ পরীক্ষা আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে।