• ৩১শে অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ , ১৫ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালায় অবহেলিত ঐতিহাসিক দরবার স্তম্ভ চত্বরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলো আমরা বন্ধু সংগঠনের সদস্যরা

admin
প্রকাশিত জুলাই ৬, ২০২৩, ১৮:২০ অপরাহ্ণ
তালায় অবহেলিত ঐতিহাসিক দরবার স্তম্ভ চত্বরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলো আমরা বন্ধু সংগঠনের সদস্যরা

তালায় অবহেলিত ঐতিহাসিক দরবার স্তম্ভ চত্বরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করেছে আমরা বন্ধু সংগঠনের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) সকালে আমরা বন্ধু সংগঠনের সদস্যরা তালা বাজার খেয়াঘাট মোড়ে অবস্থিত দরবার স্তম্ভ চত্বরটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে।

 

এ বিষয়ে আমরা বন্ধু সংগঠনের সদস্য আব্দুল্লাহ আল যোবায়ের প্রান্ত জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই ঐতিহাসিক স্থানটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে আছে। এখানে অনেকে জেনে না জেনে ময়লা আবর্জনা ফেলে। কিন্তু এটা পরিছন্নতা রক্ষায় কেউ উদ্যোগ নেয় না। তাই আমরা ঐতিহাসিক স্থাপনা সংরক্ষণের দায় থেকে এ উদ্যোগ নিয়েছি। ইতিমধ্যে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলেছি তিনি বিষয়টি নিয়ে বণিক সমিতির সভাপতির সাথে কথা বলেছেন।


বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়,ভারতীয় উপমহাদেশ যখন ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ঠিক সে সময় ১৯০৫ সালে ব্রিটিশরা বাংলাকে ভেঙ্গে দেওয়ার চক্রান্ত শুরু করে যা বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত। পরবর্তীতে ১৯১১ সাল পর্যন্ত এর বিরোদ্ধে বাংলার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন গড়ে তোলে বাংলায় কথা বলা মানুষেরা।

আন্দোলনের মুখে ১৯১১ সালে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা দেয়। তারপর, একই বছরের ১২ই ডিসেম্বর এই ঘোষণার আনুষ্ঠানিক বাস্তবায়নের জন্য সম্রাট জর্জ দিল্লিতে বৈঠকে বসেন। সম্রাটের এই আগমন উপলক্ষ্যে এবং ঐতিহাসিক এই বিজয় উদযাপণ করতে বর্তমানের তালা উপজেলায় এই দরবার স্তম্ভটি তৈরি করেন রাজনীতিবিদ রাজকুমার বসু।

১৯৯৫ সালের পর থেকে বিভিন্ন মহল এই স্তম্ভটি সংরক্ষণের দাবি জানানোর পর বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এটিকে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি হিসেবে নথিভুক্ত করে। কিন্তু, যথাযথ তদারকির অভাবে ঐতিহাসিক এই স্তম্ভটির চত্বরে ময়লা-আবর্জনার স্থান হিসেবে পতিত হয়েছিল।

নতুন প্রজন্মের কাছে এই স্তম্ভের মর্মার্থ তুলে ধরতে প্রশাসনের আরও সহযোগিতার দাবী জানান সেচ্ছাসেবী সহ স্থানীয় জনগন।