সবচেয়ে অবহেলিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম তালা উপজেলার খেশরা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে এখনো টিকে রয়েছে। বিদ্যালয়টি বরাবরই জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে আসছে কিন্তু বিদ্যালয়ের অবকাঠামোর অবস্থা খুবই করুণ। বিগত ২৪ বছরে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের জন্য কোনো বরাদ্দ আসেনি।
সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ৯৬ সালে নির্মিত পুরাতন একটি ভবন সংস্কার করে কোনোমতে চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের অপর পুরানো টিন শেড ভবনের বিভিন্ন কক্ষে দেখা যায় দেওয়ালের আস্তর খুলে পরেছে অনেক আগেই। টিনের চাল অসংখ্য স্থানে ফুঁটো হয়ে গেছে। তাছাড়া টিনগুলো বিগত সময়ের ঝড়ে দুমরে মুচরে গেছে।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একটু বৃষ্টি হলেই ক্লাসরুমে থাকা যায় না এবং সীমানা প্রাচীর না থাকায় তারা সর্বদা অস্বস্তিতে ভোগেন তারা। বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর না থাকায় ছাগল, গরু নির্বিগ্নে সারা মাঠ দাপিয়ে ঘাস খায়। বিদ্যালয়ের টয়লেটের অবস্থাও খুবই খারাপ। যে কারণে ছাত্রীদের বেশি সমস্যায় পড়তে হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ছাকির হোসেন জানান, বৃষ্টির দিনে ক্লাস চালু রাখা আমাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পরে। এমতাবস্থায়, প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বৃহত্তর স্বার্থে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য মাননীয় এমপি মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
বিদ্যালয়টির বেহাল দশা সম্পর্কে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এম ফজলুল হক বলেন, ‘আমরা খুবই হতাশাগ্রস্ত। ১৯৭২ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হলেও দীর্ঘকাল ভবন নির্মাণের জন্য কোনো বরাদ্দ পায়নি। অথচ উপজেলায় এমন কোনো পুরানো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে নতুন ভবন নেই।’এব্যাপারে সাতক্ষীরা-১ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।