আজ || রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  আ’লীগ দেশ ও জাতির শত্রু তাদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই : আজিজুল বারী হেলাল       খুলনায় ফের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং : খালিশপুরে গ্যাংস্টার সাহাদ বাহিনীর হামলায় আহত ৩       সাতক্ষীরায় সাবেক দুই এমপি ও এসপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা       ‘পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ       ড. ইউনূসের দুর্নীতি মামলা তুলে নেওয়া আইনসম্মত কি না, শুনানির নতুন তারিখ       আমি ও সালমান আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম : আদালতে আনিসুল হক       পাইকগাছার ১৩ গ্রামের বেশিরভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে       ৩৫২ আনসার সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে       হজের প্রাথমিক নিবন্ধন শুরু পহেলা সেপ্টেম্বর       টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, বাড়ছে খাদ্য সংকট    
 


আমাদের দাবি আদালতের কাছে নয়, সরকারের কাছে

আপিল বিভাগের আদেশকে ‘প্রহসন’ আখ্যা দিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। তারা জানান, আদালতের কাছে নয়, তাদের দাবি সরকারের কাছে। নির্বাহী বিভাগ থেকে যৌক্তিক কোটা সংস্কারের সিদ্ধান্ত আসার সাথে সাথে রাজপথ ছেড়ে দেয়ার কথাও জানান।

এ সময় তারা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ শতাংশের বেশি কোটা রাখা যাবে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। তাদের যে দাবি ছিলো সে দাবির সাথে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা জারির কোনো মিল নেই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে।

এর আগে, সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করে আপিল বিভাগ। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। ফলে আগামী এক মাস পর এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এর আগে, গত ৪ জুলাই সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় আপাতত বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে ৫৬ শতাংশ কোটা ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, ১০ শতাংশ নারী, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।

ওই বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোটা সংস্কারের দাবিতে বড় বিক্ষোভ হয়। কোটাব্যবস্থার সংস্কার করে ৫৬ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি জানিয়েছিলেন তখনকার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে) কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিটের রায়ে চলতি বছরের ৫ জুন পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। এর পর থেকে চাকরিপ্রত্যাশী ও শিক্ষার্থীরা সরকারের জারি করা সেই পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে মাঠে নামেন।


Top