রেডজোনের আওতাভূক্ত ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) অফিসসহ আশপাশ এলাকা অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় কেডিএ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।
জানা গেছে, ৩১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত হয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের অধিক্ষেত্র। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক দিয়ে নগরীর প্রাণকেন্দ্রে হওয়ায় ২০ নং ওয়ার্ডটি অধিক গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ২৭ হাজার জন্যসংখ্যার এ ওয়ার্ডে রয়েছে শেখ পাড়ার বৃহৎ কাঁচা বাজার, লোহা পট্টি, শো-রুম, ব্যাংক-বীমাসহ সরকারি-বেসরকারি নানা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া শিববাড়ি মোড়ে অবস্থিত সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অফিস। ফলে অন্য ওয়ার্ডের চেয়ে এ ওয়ার্ডে বেশি সংখ্যক মানুষের চলাচল ও সমাগম ঘটে। জনসংখ্যার চাপে ওয়ার্ডে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এ পর্যন্ত অন্তত শতাধিক মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছে। বর্তমানে করোনা পজেটিভ রয়েছেন ৫৭জন। এছাড়া কেডিএ’র পূর্ত-শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রবিন কুমার দাস, বৈষয়িক শাখার সার্ভেয়ার বোরহান উদ্দিন, কার্য-সহকারী জাহাঙ্গীর আহসান, অঙ্কনবীদ নাসির উদ্দিন, চেইনম্যান হামীদ মীর, পিয়ন মোস্তফা হাওলাদার, মালি আব্দুর রব ও আনোয়ার হোসেনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন। প্রতিষ্ঠানের বৈষয়িক শাখার পরিদর্শক মিরাজ হোসেন স্বস্ত্রীক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় ভাইরাসের উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় উক্ত ওয়ার্ডকে রেডজোন ঘোষণা ও কেডিএ অফিসে কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ায় বিরাজ করছে চরম আতঙ্ক।
কেডিএ কয়েকজন কর্মচারী জানান, অসুস্থ অবস্থায় অনেকে দীর্ঘদিন অফিস করছেন। যার কারণে ঝুঁকি নিয়ে অফিস করতে হচ্ছে। পরিবারের বউ-সন্তানরা অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
শেখ পাড়ার বাসিন্দা আবু সুফিয়ান বলেন, শেখপাড়া লোহাপট্টিসহ বাজার ও মোড়ে জনসমাগম হচ্ছে। মালামাল লোড-আনলোড হচ্ছে, লোকজন বিনাপ্রয়োজনে ঘোরাফেরা করছে। ফলে করোনা ভাইরাস বিস্তারের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ফলে এ ওয়ার্ডকে লকডাউন ঘোষণা করা উচিত। কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন বলেন ওয়ার্ডটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিস জানান, ওয়ার্ডটি রেডজোনের আওভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু লকডাউন ঘোষণা করা হয়নি। তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মোঃ গাউসুল আযমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।