সাতক্ষীরা সদর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের দুর্নীতি পরায়ন ও মামলাবাজ ডাটাএন্ট্রি অপারেটর কামরুজ্জামান ওরফে টুটুল এর ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রেহাই পেতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগি একটি পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের মৃত ছলেমান সরদারের ছেলে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের পিতা মোঃ সিদ্দিক আলি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাশেমপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে কামরুজ্জামান ওরফে টুটুল আমার ও ছেলে সাংবাদিক সেলিম হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যে ষড়যন্ত্র পূর্বক বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ১মে আব্দুস সামাদের একটি গরু আমাদের ফসল ক্ষেতে ঢুকে ফসল নষ্ট করে। এঘটনার প্রতিবাদ করায় কামরুজ্জামান, তার বাবা আব্দুস সামাদ ও তালাকপ্রাপ্ত বোন বিউটি খাতুন আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করে। আহত অবস্থায় আমি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করি। পরে ৪ মে থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করলে কামরুজ্জামান আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাদেরকে নানা ধরনের হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এঘটনায় গত ৫ জুন আমার ভাইপো শহিদুজ্জামান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাবাজ কামরুজ্জামান ওরফে টুটুল সদর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারের ডাটাএন্ট্রি অপারেটর হওয়ায় অবৈধ প্রওভাব খাটিয়ে আমার ও ছেলে সাংবাদিক সেলিম হাসেনের বিরুদ্ধে ঘড়যন্ত্র চালিয়ে একের পর এক জঘন্যে মিথ্যেচার করছে। একইসাথে পরিবারের অন্যদেরকেও খুন, জখম ও মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। এসব করতে কামরুজ্জামান তার কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন জায়গায় তদবীর করে বেড়ায়। কর্মস্থল রিসোর্স সেন্টার তার বিরুদ্ধে দুনীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। অফিস ফাঁকি দিয়ে বহু সাধারণ মানুষের নামে থানা ও আদালতে মিথ্যে মামলা ও অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করে লক্ষ লক্ষ টাকা অদায়ে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এসব কারনে এর আগে ওই অফিস থেকে তার দুইবার বদলির আদেশ হয়। জমি ক্রয়ের জন্য কামরুজ্জামান শহরের রসুলপুর এলাকার জনৈক মোন্তাফিজুর রহমানের কাছে ১৩ লাখ ৮০ হাজার এবং লিয়াকত আলির কাছে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সিদ্দিক আলি আরো বলেন, কামরুজ্জামান একজন পরসম্পদ লোভী, দুর্নীতি পরায়ন ও মামলাবাজ ব্যক্তি। তার অত্যাচারে ও মিথ্যে ষড়যন্ত্রের ভয়ে এলাকার মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। একইভাবে তার ভাড়াটিয়া লোকজন দিয়ে আমাদেরকে খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে। ফলে কামরুজ্জামনের দ্বারা আমি ও পরিবারের অন্য সদস্যদের জান মালের বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি আংশকা করছি। তিনি দুর্নীতি ও মামলাবাজ কামরুজ্জামানের ষড়যন্ত্র ও হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পেতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে দুর্নীতিদমন কমিশন, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।