খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি দৈনিক জন্মভূমির সম্পাদক হুমায়ুন কবির বালু’র ১৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী আজ। হত্যাকাণ্ডের প্রায় দেড় যুগ পূর্ণ হলেও উন্মোচিত হয়নি মূল রহস্য, শাস্তি হয়নি খুনিদের। ২০০৪ সালের আজকের দিনে ২৭ জুন নগরীর ইসলামপুর রোডে দৈনিক জন্মভূমি কার্যালয়ে প্রবেশকালে আততায়ীদের বোমা হামলায় নিহত হন তিনি। মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনায় খুলনা প্রেসক্লাব কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
সূত্রমতে, পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় কোন মামলা না করায় খুলনা থানার তৎকালীন এসআই মারুফ আহমেদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনের পৃথক ধারায় দু’টি মামলা করেন। যথারীতি পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেয়। প্রায় চার বছর ধরে হত্যা মামলার বিচার চলার পর ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্র“য়ারি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের রায়ে সকল আসামিকে বেকসুর খালাস দেন। এছাড়া বিচারক পুলিশের দুর্বল প্রতিবেদন দাখিলের কথাও উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, ২০০৯ সালের ১৫ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনামূল হক বিস্ফোরক মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দু’টির মধ্যে ব্যাপক গরমিল থাকায় ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলাটি অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন বলে তিনি আবেদনে উল্লেখ করেন। ২০ এপ্রিল মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেয় আদালত। ১০ মে মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে শুনানি শেষে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সহকারী পুলিশ সুপার শাহাদাৎ হোসেন ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর আদালতে সম্পূরক চার্জশীট দেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি খুলনা মহানগর হাকিম এটি গ্রহণ করেন। নিহতের জ্যেষ্ঠপুত্র আসিফ কবীর বলেন, পুলিশের দুর্বল চার্জশীটের কারণে হত্যাকারীদের শাস্তি হলো না।