রাজধানীর মুগদার মাণ্ডা এলাকায় মমতাজ বেগম মরণী (৫০) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে মাথায় আঘাতের পাশাপাশি শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। আজ বুধবার সকালে সংবাদ পেয়ে দক্ষিণ মাণ্ডা মহিলা মেম্বার গলি এলাকার ১৩১০ বাড়ি থেকে মমতাজ বেগমের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পরপরই মমতাজ বেগম মরণীর ছোট সন্তান সোহানকে আটক করা হয়েছে।
জানা গেছে, নিহত মমতাজ বরিশাল মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। স্বামী আব্দুল জলিল হাওলাদার ও তিন ছেলেসন্তানকে নিয়ে মুগদার মাণ্ডা এলাকায় থাকতেন। গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মোটরসাইকেল মেরামতের টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মমতাজের ছেলে সোহান (১৫) তার মাকে মাথায় আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
তিনি জানান, সোহান তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল চালাতো। সেই মোটরসাইকেল নষ্ট হলে ওয়ার্কশপে মেরামত করতে দেয়। মেরামতের বিল এসেছে সাড়ে তিন হাজার টাকা। এই টাকা সোহান তার মায়ের কাছে চাওয়ার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে মমতাজ বেগমকে আঘাতের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।