খুলনা চিত্র ডেস্ক: আলোচিত যুবলীগ নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আরিফ হোসেন হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সুজন সরকার (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে আড়ংঘাটা থানা পুলিশ। এছাড়া একটি বিদেশি পিস্তলসহ গুলি উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) তপন কুমার সিংহ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিনহাজুল ইসলামের নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে আড়ংঘাটা রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকা থেকে সুজন সরকারকে গ্রেফতার করে। একই রাতে পুলিশ ১টি বিদেশি পিস্তল, ম্যাগজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত সুজন সরকারের বাড়ি ডুমুরিয়া উপজেলার শলুয়া গ্রামে। তার বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে থানায় মামলা আছে। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠায় আদালত।
উলেখ্য, ২৪ জুন রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে কুয়েট পকেট গেট সংলগ্ন নিজ বাড়ির সামনে যুবলীগ নেতা আরিফ মোবাইল ফোনে কথা বলছিলো। এ সময় ফুলবাডিগেটের দিক থেকে মোটরসাইকেলে করে তিনজন দুর্বৃত্ত তাকে গুলি করে মৃত্যু নিশ্চিত করে নির্বিঘেœ পালিয়ে যায়। ঘটনার একদিন পর নিহতের পিতা সিআইডি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন বাদী হয়ে আড়ংঘাটা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আড়ংঘাটা থানার ওসি (তদন্ত) তপন কুমার সিংহ জানান, আরিফ হোসেনকে হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের বাবা আমির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তবে মামলার এজাহারে হত্যার কোনো কারণ উলেখ করা হয়নি।
তিনি জানান, এ মামলায় মঙ্গলবার রাতে মোঃ সুজন সরকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার সুজন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে।
এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর কুয়েট সড়কে সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোঃ আরিফ হোসেন নিহত হন। নিহত আরিফ যোগীপোল ইউনিয়নের সাবেক সদস্য ও ৩৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক। আরিফ হত্যাকাণ্ডটি এলাকায় বেশ আলোচিত হয়।
বিবৃতি : যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বর ও ৩৩নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মো. আরিফ হোসেন সন্ত্রাসীদের গুলিতে নির্মমভাবে নিহতের ঘটনায় নিন্দা, প্রতিবাদ এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন যোগিপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, খানজাহান আলী থানা যুবলীগ ও খানাবাড়ী যুব সংঘ ক্লাব।
বিবৃতিদাতারা হলেন যোগিপোল ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, প্যানেল চেয়ারম্যান কাজী শহিদুল ইসলাম পিটো, ২নং ওয়ার্ড মেম্বর জি এম এনামুল কবির, ৩নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. মামুন শেখ, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. মনির হোসেন, ৫নং ওয়ার্ড মেম্বর গোলাম কিবরিয়া, ৬নং ওয়ার্ড মেম্বর মো. রফিকুল ইসলাম রফিক, ৭নং ওয়ার্ড মেম্বর শেখ আমজাদ হোসেন, ৮নং ওয়ার্ড মেম্বর শাহ হাফিজুর রহমান, ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর শরিফুল ইসলাম, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বর হাফিজা বেগম, মাহফুজা বেগম, শাহারা জলি খানম।
অনুরূপ বিবৃতি দিয়েছেন খানজাহান আলী থানা যুবলীগের আহবায়ক মো. সাজ্জাদুর রহমান লিংকন, খানাবাড়ী যুব সংঘ ক্লাব ও লাইব্রেরীর সভাপতি আবু হেনা বাবলু, সাধারণ সম্পাদক তৈয়বুর রহমান লিটন।