ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এসআই ও এএসআইসহ ২৯ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের উন্নত খাবার, ভিটামিন-সি, মৌসুমি ফল, ওষুধসহ তাদের পরিবারের খোঁজখবর নিয়ে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ভাঙ্গা থানার ওসি মো. শফিকুর রহমান।
ভাঙ্গায় এ পর্যন্ত ১৭২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৬ জন। এ পর্যস্ত নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৭৮৯ জনের।
এ ব্যাপারে ওসি মো. শফিকুর রহমান বলেন, ভাঙ্গা থানার এসআই ৩ জন ও এএসআই ৪ জন এবং হাইওয়ে থানার ২ জনসহ মোট ২৯ পুলিশ সদস্য করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
তারা সবাই হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। আমি ওই পুলিশ সদস্যদের উন্নত খাবার, ভিটামিন-সি, মৌসুমি ফল, ওষুধসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
এর পরও জনসেবা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সবসময় পুলিশ মাঠে কাজ করে যাচ্ছে।
এ ছাড়া লকডাউন নিশ্চিত করতে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তদারকি করতে দিনরাত মাঠে কাজ করার ফলে তারা আক্রান্ত হয়েছেন।
ভাঙ্গা পৌরসভা ও চুমুরদী এলাকাসহ কয়েকটি এলাকা ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রশাসন।
লকডাউন করা এলাকায় জনগণকে ঘরে রাখতে মোড়ে মোড়ে ব্যানার টাঙিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা সার্কেলের অ্যাডিশনাল এসপি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গা থানার কয়েকজন অফিসারসহ মোট ২৯ পুলিশ সদস্য কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
ওসি ও আমি সব পুলিশ সদস্যকে উন্নত খাবার, ফল ও ওষুধ পৌঁছে দিচ্ছি। এ ছাড়া আমাদের এমপি ও এসপি তাদের সব ধরনের খোঁজখবর নিচ্ছেন।
আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের একটি ভবনে আলাদা করে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। ফরিদপুর থেকে নতুন করে ৩৫ জন রিজার্ভ পুলিশ ভাঙ্গা থানায় আনা হয়েছে।
পৌর এলাকায় ১৫ দিনের লকডাউন ঘোষণা করার পর জনগণকে ঘরে রাখতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে এবং সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।