শিরোনাম
খুলনার গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের নগদ অর্থ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি প্রদান করেন বিএনপি নেতা বকুল লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো তরুণীকে চাকরি দিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বাজেয়াপ্তের ভয়ে রেমিট্যান্স হয়ে ফিরছে পাচারের অর্থ : শামসুজ্জামান দুদু ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা এবার ৫ গুণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করলেন সাফজয়ী কোচ ছোটন সাতক্ষীরায় ট্রাক চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামি হাশেম গ্রেপ্তার সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে হজ্জ যাত্রীদের সালামতি ও দোয়া অনুষ্ঠিত তুরস্কে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে : এরদোগান তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের অভিনন্দন বিদেশি প্রভুদের সাড়া না পেয়ে বিএনপি দিশেহারা : ওবায়দুল কাদের

বগুড়ার সেই বিচারককে প্রত্যাহার

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩

বগুড়ায় অভিভাবককে পা ধরতে বাধ্য করার অভিযোগে অতিরিক্ত জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয় সংযুক্ত করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি  বলেন, প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিনকে প্রত্যাহার করে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

তাকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (প্রশাসন ও বিচার) মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষরে সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মাকে বিচারক বেগম রুবাইয়া ইয়াসমিন তার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছেন; -এমন অভিযোগে স্কুলের সামনের রাস্তায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এর প্রতিবাদে হত মঙ্গলবার বিকেলে স্কুলের সামনের রাস্তা বন্ধ করে কয়েক দফায় প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ে ওই স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, সব শিক্ষার্থীর পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেওয়ার কথা থাকলেও বিচারকের মেয়ে কখনোই শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয় না। বিষয়টি নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার।

২০ মার্চ রাতে স্কুলের একটি ফেসবুকে সহপাঠীদের কটাক্ষ করে একটি পোস্ট লেখে বিচারকের মেয়ে। এতে কয়েকজন সহপাঠী ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ জানায়।

পরদিন মঙ্গলবার সকালে স্কুলের অভিভাবক সমাবেশে এসে বিচারক রুবাইয়া ইয়াসমিন ৩ শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবককে শিক্ষকের মাধ্যমে ডেকে আনেন। ফেসবুকে তাকে ও তার মেয়েকে নিয়ে ‘অপমানজনক কথা’ বলা হয়েছে এমন দাবি করে সাইবার অপরাধের অভিযোগে মামলা করার হুমকি দেন তিনি। শিক্ষার্থীরা জানান, অভিভাবকদের ডেকে নিয়ে মামলার হুমকি দেওয়ার এক পর্যায়ে এক শিক্ষার্থীর মাকে পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেন ওই বিচারক। সেসময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোছা. রাবেয়া খাতুন সেই বিচারকের পক্ষ নিয়ে শিক্ষার্থীদের শাসান।

এ বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাতে থাকেন নেটিজনেরা।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর