ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় একটি বাজারের নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের গুলিতে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় বাজারের আরেক নৈশপ্রহরী ও পুলিশের এক সদস্যসহ আহত হয়েছে তিনজন।
বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার বেকের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন- বাজারের নৈশপ্রহরী আবদুল মান্নান মুনু (৪৫) এবং ডাকাতদলের তিন সদস্য- বরগুনার আমতলী উপজেলার তর্কাবনিয়া গ্রামের হোসেন মাতব্বরের ছেলে দুলাল মাতব্বর (৪৫), একই এলাকার আমরাগাছিয়া গ্রামের মতলব মোল্লার ছেলে বাবুল মোল্লা (৩৫) ও নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার খামার আক্কেলপুর গ্রামের প্রয়াত মো. ইসমাইলের ছেলে মো. বিদুৎ (৩২)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ৮/১০ জনের ডাকাতদল উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের ফেনী মাইজদী সড়কের বেকের বাজারে ঢুকে কর্মরত নৈশপ্রহরী আবদুল মান্নান মুনুকে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ বাজারের টিপু মার্কেটের গলির ভেতরে ফেলে দেয়। পরে ডাকাতদল বেকের বাজারস্থ শরিয়ত উল্ল্যাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামক মুদি দোকানের মালামাল ট্রাকে ভরতে থাকে। খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা গুলি চালায়। এতে ডাকাতদলের তিন সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনায় দাগনভূঞা থানার এএসআই আলী হোসেন, বাজারের আরেক নৈশপ্রহরী রফিকুল ইসলাম রফিক (৫০) ও ডাকাতদলের সদস্য পটুয়াখালী সদর উপজেলার গেরাখালী গ্রামের আবদুল মালেক পেদার ছেলে দুলাল পেদা (৩০) আহত হয়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি ট্রাক, লুট করা ২০ বস্তা চাল, ১ বস্তা পেঁয়াজ, ১ বস্তা রসুন, ৪টি মোবাইল ফোন, ২টি ছোরা, দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৮/১০ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম সিকদার জানান, এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।