ফিলিপাইন সরকারের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক মারিয়া রেসাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন দেশটির আদালত। এর জন্য ছয় বছরের জেলও হতে পারে মারিয়ার।
মতপ্রকাশে স্বাধীনতায় বিশ্বাসীরা মনে করছেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সঙ্গে বিবাদের কারণেই তাকে এ সাজা দেওয়া হচ্ছে।
নিউজ ওয়েবসাইট র্যাপলারের প্রধান নির্বাহী মারিয়ার বিরুদ্ধে আট বছর আগে এক প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে মারিয়া অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
মারিয়ার সঙ্গে র্যাপলারের একজন প্রাক্তন সাংবাদিককেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির
আট বছর আগের ওই প্রতিবেদনে ফিলিপাইনের শীর্ষ আদালতের সাবেক এক বিচারকের সঙ্গে এক ব্যবসায়ীর অবৈধ যোগাযোগের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের চার মাসের মাথায় ২০১২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফিলিপাইনে কার্যকর করা হয় ‘সাইবার- লাইবেল’ আইন। বিতর্কিত এই আইনে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো মারিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তবে আইন অনুযায়ী, এক বছর সময়সীমার মধ্যে অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় প্রাথমিকভাবে তা বাতিল করে দেয় ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনস (এনবিআই)। পরে ২০১৮ সালের মার্চ মাসে পুনরায় এই মামলার তদন্ত শুরু হয়।
এর আগে, তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকিসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হলেও গত বছর মানহানির অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের একদিন পরে তিনি জামিনে মুক্ত হন।
২০১২ সালে র্যাপলার প্রতিষ্ঠা করেন মারিয়া। অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফিলিপাইনে পরিচিত হয়ে ওঠে নিউজ ওয়েবসাইটটি। দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের সমালোচনা করা অল্প কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের একটি র্যাপলার। তবে তাদের বিরুদ্ধে ‘ফেইক নিউজ’ প্রকাশের অভিযোগ তুলে র্যাপলারের লাইসেন্স প্রত্যাহার করে ফিলিপাইন।
মারিয়া র্যাপলার প্রতিষ্ঠার আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ কাজ করেছেন। নিজের প্রতিবেদনের কারণে বহু আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছেন মারিয়া রেসা। ২০১৮ সালে টাইম ম্যাগাজিনের বর্ষসেরা ব্যক্তির তালিকায় স্থান পান তিনি।