পাইকগাছার দেলুটির কালিনগর ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধে আবারো ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউএনও।
উল্লেখ্য উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২২ নং পোল্ডারের কালিনগর এলাকার ওয়াপদা বেঁড়িবাঁধে আবারো ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল জানান-বিগত প্রায় ১০ বছর যাবৎ ওই স্থানে ও আশপাশের এলাকায় ভাঙন অব্যহত রয়েছে।
ভাঙন যখন ভয়াবহ আকার ধারন করে তখন অনেক সময় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বিকল্প ভেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করে দেয়। আবার কখনো আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মেরামত করার চেষ্ঠা করি। কিন্তু ভাঙন এলাকায় ভদ্রা নদীর এতটাই বেশি তীব্র ¯্রােত থাকে বাঁধ মেরামত করলেও তা টেকসই হয় না।
স্থানীয় এ জনপ্রতিনিধি বলেন সম্প্রতি শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় কালিনগরের বাওয়ালী বাড়ী হতে আশিষ হালদারের বাড়ী অভিমুখে প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়ে ইউনিয়নের ২২নং পোল্ডারের কালিনগর, হরিনখোলা, দারুনমল্লিক, হাটবাড়ী, নোয়ায়, সেনেরবেড়, তেলিখালী, ফুলবাড়ি, বিগোরদানা, দূর্গাপুর ও সৈয়দখালীসহ ৫টি ওয়ার্ডের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। ঝুকিপূর্ণ বাঁধের কারনে হুমকির মুখে রয়েছে অত্র এলাকায় বসবাসরত ১৫ হাজার মানুষ।
চলতি মৌসুমে অত্র পোল্ডারের আবাদকৃত ৩০ কোটি টাকার তরমুজ ও বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে ২২ নং পোল্ডারের বাসিন্দারা। এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের নির্দেশনায় উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মোহাম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুলিয়া সুকায়না ও সহকারি কমিশনার(ভূমি) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম মঙ্গলবার সকালে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় এলাকাবাসীর সাথে আলোচনা করে ভাঙনরোধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঘটনাস্থল থেকেই উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন ইউএনও জুলিয়া সুকায়না।
যার প্রেক্ষিতে বুধবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ ব্যানার্জী ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে সেখানে ৬শ মিটার বিকল্প বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে বলে এলাকাবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান।