আজ || বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  মৃত দাদির জন্য খাটিয়া বহনকালে ট্রাকের ধাক্কা, নাতিসহ নিহত ৩       বিএসএফের গুলিতে নিহত জয়ন্তর মরদেহ ফেরত       গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ ফেরত দিলো বিএসএফ       পরিকল্পনা বদলে শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে ৬টি প্লট দেয় রাজউক       পেট্রোবাংলায় তিতাসের কর্মীদের হামলা-ভাঙচুর       সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত       ফকিরহাটে পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪       ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার নামে বাংলাদেশির মৃত্যু       ১১১ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন       কেসিসি’র নাগরিক সেবা কার্যক্রম জোরদার ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষে কাউন্সিলরদের সমন্বয় সভা    
 


নির্বাচনে জয়ের দাবি মোদির, হাল ছাড়ছে না কংগ্রেসও

খবর প্রতিবেদন : সদ্যই শেষ হওয়া ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচনে মঙ্গলবার (৪ জুন) দিনভর ভোট গণনার শেষে ভারতের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট সুস্পষ্টভাবে বিজয়ী হয়েছে বলে দাবি করলেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

অপরদিকে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ‘ইনডিয়া’ তারা ক্ষমতাসীন বিজেপির জোট ‘এনডিএ’-এর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করেছে। জোটটি অনানুষ্ঠানিকভাবে ২৩১টি আসনে জয় পেয়েছে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদির বিজেপির ‘এনডিএ’ জোট পেয়েছে ২৯৪টি আসন।

এদিন রাতে দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতরে দলের নেতা-কর্মীদের সামনে ভাষণ ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “বিজয়ের এই মুহূর্তে আমি দেশের জনতাকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গেই ধন্যবাদ জানাই এনডিএ-র সব সঙ্গীকে।”

নরেন্দ্র মোদির এই দাবির ভিত্তি হলো, বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ দেশের মোট ৫৪৩টি লোকসভা আসনের মধ্যে অন্তত ২৯২টিতে হয় জিতেছে বা এগিয়ে আছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের প্রধান জোট ইন্ডিয়া পেতে চলেছে ২৩২টির মতো আসন।

সরকার গড়ার জন্য প্রয়োজনীয় গরিষ্ঠতা পেতে হলে অন্তত ২৭২টি আসনে জেতা জরুরি – এনডিএ সেই ‘ম্যাজিক সংখ্যা’ অতিক্রম করে গেছে বলেই নরেন্দ্র মোদি দাবি করছেন তারা ‘পরপর তৃতীয়বার জনগণের আশীর্বাদ’ পেয়েছেন এবং সরকার গড়তে যাচ্ছেন।

অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুযায়ী, একক দল হিসেবে বিজেপি পেয়েছে ২৪০টি আসন। যার অর্থ তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে হলে লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে একা ২৭২টি আসনে জয় পেতে হবে।

আগের দুই নির্বাচনে এ ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করলেও এবার তা পারেনি বিজেপি। এ কারণে সরকার গঠনে তাদের এবার জোটের শরীক দলগুলোর ওপর নির্ভর করতে হবে।

আর এই বিষয়টিরই সুবিধা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে কংগ্রেস। তারা মোদির ‘ঘর ভেঙে’ অর্থাৎ জোট ভেঙে সরকার গঠনের চেষ্টা চালাবে।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন সরকার গঠনের উদ্দেশ্যে তারা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং তেলেগু দিসাম পার্টির প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুর সঙ্গে কথা বলবেন— এ দুজনই মোদির বিজেপি দলের মিত্র।

‘ইনডিয়া’ জোটের নেতা উদ্ভব ঠাকরে প্রথম নেতা হিসেবে জনসম্মুখে এ ব্যাপারে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, কংগ্রেস তাদের সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী।

কংগ্রেসের অপর জ্যেষ্ঠ নেতা সালমান খুরশিদ এ ব্যাপারে কিছুটা সতর্কতা বজায় রেখে বলেছেন, “আমরা আমাদের সব মিত্র এবং অন্যদের নিয়ে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠনে কাজ করব।”

এই সম্ভাবনা আরও প্রবল হয়েছে কারণ দুই জোটের মধ্যে ব্যবধান খুবই কম।

মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত যেসব ফলাফল পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যত আসন প্রয়োজন ‘এনডিএ’ জোট তার চেয়ে মাত্র ২০টি আসন বেশি পাবে।

নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডুর দল মিলে ২৮টি আসন পেয়েছে বলে অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা গেছে।

যদি এ দুজন বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করে এবং ‘ইনডিয়া’-র সঙ্গে যোগ দেয় তাহলে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন এ জোটের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬০ এ। অপরদিকে বিজেপির ‘এনডিএ’ জোটের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ২৬০ এ।

তখন দুই জোটেরই সংখ্যাগরিষ্ঠতার ম্যাজিক ফিগার ২৭২ থেকে ১২ আসন কম থাকবে। আর এই বিষয়টি তখন পূরণ করতে পারবে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। তারা সরকার গঠনে সহায়তা করতে এগিয়ে আসতে পারে।

আজ বুধবার ‘ইনডিয়া’ জোট দিল্লিতে বৈঠক করতে যাচ্ছে। তাদের বৈঠকে এ বিষয়টি থাকবে এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

জোট পরিবর্তন করার জন্য পরিচিত নীতীশ কুমার

আসামের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জোট পরিবর্তন করার জন্য ‘অখ্যাতি’ রয়েছে। তিনি গত গত ১০ বছরে পাঁচবার জোট পরিবর্তন করেছেন। সর্বশেষটি করেছেন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে। ওই মাসে তিনি ‘ইনডিয়া’ জোট ছেড়ে মোদির ‘এনডিএ’-তে যোগ দিয়েছিলেন।

অপরদিকে বাবুচন্দ্র নাইডু ২০১৯ সালের নির্বাচনের আগ মুহূর্তে মোদির জোট ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর এবারের নির্বাচনের আগে আবার জোটটিতে যোগ দেন তিনি।
সূত্র: এনডিটিভি


Top