দ্বিতীয়বার নমুনা পরীক্ষা না করেই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার এক ব্যক্তিকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। অনুমতি দেয়া হয়েছিল বাড়ির বাইরে যাওয়ারও। এর পরদিনই ওই ব্যক্তি মারা গেছেন।
মৃতের নাম মনসুর রহমান (৩০)। চারঘাটের ঝিকড়া গ্রামে তার বাড়ি। সোমবার সকালে বাড়িতেই মারা গেছেন তিনি। আগের দিন (২১ জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে করোনামুক্ত ঘোষণা দিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিয়েছিল। অথচ দ্বিতীয়বার তার নমুনায় পরীক্ষা করা হয়নি।
দ্বিতীয় পরীক্ষা না করার বিষয়টি নিশ্চিত করে চারঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দা সামিরা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা আছে কারও শরীরে যদি করোনার উপসর্গ না থাকে তবে একটা নির্দিষ্ট সময় পর তাকে করোনামুক্ত বলা যাবে। সে অনুযায়ী রবিবার চিকিৎসকরা মনসুরকে বলেছিলেন, চাইলে তিনি এখন বাড়ি থেকে বের হতে পারবেন। তবে তার বাড়ির লকডাউন তুলে নেয়া হয়নি। এটা করা হলে নিশ্চয় আমি জানতাম।
গত ৬ জুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষায় মনসুরের করোনা শনাক্ত হয়। সেদিন যোগাযোগ করা হলে মুঠোফোনে তিনি জানিয়েছিলেন, তার করোনার উপসর্গ নেই। তিনি বলেছিলেন, তিনি পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের গাড়িচালক হিসেবে কাজ করেন। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, সেখানে ঢুকতে হলে করোনা নেগেটিভ সনদ নিয়ে আসতে হবে। সেজন্যই তিনি নমুনা দিয়েছিলেন পরীক্ষার জন্য। এতেই তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তবে তার কোনো উপসর্গ নেই।
চারঘাটের ইউএনও সৈয়দা সামিরা বলেন, মনসুর রহমান হৃদরোগে ভুগতেন। সে কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে যেহেতু করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছিল তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে লাশ দাফন করতে বলা হয়েছে।