করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ‘ঘরবন্দি’ থাকতে হচ্ছে সবাইকে। অথচ ওরা এক ঝাঁক উদ্যমী তরুণ তপ্ত রোদে ছুটে চলছেন এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে। বুধবার ঘূর্ণিঝড় আম্পানে লণ্ডভণ্ড হওয়া খুলনার কয়রা উপজেলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের জন্য অস্থায়ী নিরাপদ স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করে দিচ্ছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিটের সদস্যরা।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিটের উপ-যুব প্রধান-২ মুস্তাকিম বিল্লাহ মুহিত বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে। এই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাটি দুর্যোগের ও দুর্যোগ পরবর্তী সময় মানুষের পাশে থেকে উদ্ধার তৎপরতা চালায়। এছাড়া মানুষের যে কোনো প্রয়োজনে তাদের পাশে দাঁড়ায়। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিট ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদের সহযোগিতায় ও ইউনিটের যুব প্রধান শেখ আলামিনের তত্ত্বাবধানে, জেলা ইউনিটের রক্ত বিভাগের প্রধান সাকিবুল হাসান, সিটি ইউনিটের যুব প্রধান আশরাফুল ইসলামের সমন্বয়ে কয়রার উত্তর বেতকাশি, দক্ষিণ বেতকাশি, মহারাজপুর, কয়রা সদর ইউনিয়নে আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অস্থায়ী নিরাপদ স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। এতে দুর্গত মানুষরা খুব খুশি হচ্ছে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিটের নির্বাহী সদস্য মিনা অছিকুর রহমান দোলন বলেন, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবক ও কর্মকর্তারা বিপন্ন মানবতার কল্যাণে গণ মানুষের সেবায় সর্বদা নিয়োজিত রয়েছেন। যারা আম্পান পরবর্তী বিধ্বস্ত কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপে ধারাবাহিকভাবে সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিট ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদের দিক নির্দেশনা ও সার্বিক সহযোগিতায় শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষের দার গোড়ায় পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে সোসাইটির তরুণ উদ্যমীরা।
বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি খুলনা জেলা ইউনিট ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ নিয়েছেন আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত কোনো মানুষ যেন কষ্টে না থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ঘর হারানো সর্বশান্ত পানিবন্দি ৬শ’ পরিবারের অস্থায়ী নিরাপদ স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে নারীরা নিরাপদে স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে পারে।
তিনি জানান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে দুর্গত মানুষের প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, সয়াবিন তেল, সাবান ইত্যাদি।