দাকোপে চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলা প্রধান স্বাক্ষী আসামী হিসেবে সিআইডি’র হাতে গ্রেফতার

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ৩০ জুন, ২০২০

সরকারি ইজারাদারদের দখলচ্যুত করতে ও প্রতিপক্ষকে শায়েস্থা করতে দাকোপের নিরীহ মৎস্যজীবী নাসির সানাকে খুন করা হয়। স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে প্রকৃত খুনিরা হয়ে যায় মামলার স্বাক্ষী। খুলনা সিআইডি’র কাছে গ্রেফতারকৃত চাঞ্চল্যকর নাসির সানা হত্যা মামলার প্রধান স্বাক্ষী হাতেম সানা ১৬১ধারার জবাববন্দীতে এ তথ্য দিয়েছে। সিআইডি’র কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে এসব কথা জানা গেছে।

সিআইডি’র সুত্র জানান, দাকোপের কামারগোদা খালটি স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল অবৈধভাবে দখল করে আসছিল। ২০১৮সালে জয়নগর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি লতিফ সানা সরকারিভাবে ওই নদীটি ইজারা পায়। ওই নদী অবৈধভাবে দখল রাখার জন্য স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির নির্দেশে জয়নগর গ্রামের হাতেম সানা (৫০), অচিন্ত্য মন্ডল (২৬)সহ ৫/৬জন মিলে ২০১৮ সালের ২৭ জুন রাতে নিরীহ মৎস্যজীবী নাসির সানা (৪৮) কে হত্যা করে ঠাকুরনবাড়ি খালে ফেলে দেয়। পরেরদিন নাসির সানার বাবা আব্দুর রাজ্জাক সানাকে বাদী করে নিরীহ ১৩জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য খুলনা সিআইডি’র ওপর দায়িত্ব দেয়া হয়। সিআইডি’র বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল কাদের মামলাটি তদন্তর দায়িত্ব দেন খুলনা সিআইডির পুলিশ পরির্দশক শেখ শাহাজাহানকে। দীর্ঘ ২ বছর তদন্ত শেষে গত রবিবার রাতে ওই মামলার এক নম্বর স্বাক্ষী হাতেম আলী সানা (৪৯), শংকর মন্ডলের ছেলে অচিন্ত্য মন্ডল ও শংকর মন্ডলের স্ত্রী সন্ধ্যা মন্ডল ওরফে সোনালী মন্ডলকে সিআইডি গ্রেফতার করে।

তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরির্দশক শেখ শাহাজাহান বলেন, নদী নিয়ে বিরোধের জেরধরে নাসিরকে হত্যা করা হয়েছে। মামলার ১নং স্বাক্ষী হাতেম সানা এ হত্যাকান্ডের মুল নায়ক বলে তিনি জানান।

মামলার বাদী রাজ্জাক সানা বলেন, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির নির্দেশে আমি নিরীহ ১৩জনের নামে মামলা করি। নিজেকে অক্ষর জ্ঞানহীন দাবি করে তিনি বলেন, আমার ছেলে খুন হওয়ার পরে আমাকে ভূল বুঝিয়ে এ মামলাটি করানো হয়।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর