থমকে গেছে খুলনায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার স্থাপন প্রক্রিয়া!

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০২০

ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট প্রেরণ, জমি অধিগ্রহণে প্রশাসনিক অনুমোদন ও কাজের প্রাক্কলন মূল্য নির্ধারণের পরও থমকে গেছে খুলনায় নভোথিয়েটার স্থাপনের প্রক্রিয়া। জিরোপয়েন্টের কাছে কৃষ্ণনগর মৌজায় ১০ একর জমিতে এটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল তা বাস্তবায়নে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, মন্ত্রণালয়ের পরবর্তী কোন নির্দেশ না আসায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের বিনোদনের মাধ্যমে মহাকাশ বিজ্ঞান, গ্রহ-নক্ষত্র সম্পর্কে সঠিক ধারণা ও তথ্য প্রদানসহ বিজ্ঞান শিক্ষায় আগ্রহী করতে খুলনায় একটি নভোথিয়েটার নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। এই নভোথিয়েটার হবে অনেকটা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় নভোথিয়েটারের আদলে। এজন্য ২০১২ সাল থেকেই তৎপরতা শুরু করে খুলনা জেলা প্রশাসন ও বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার কর্তৃপক্ষ। প্রথম দফায় ২০১৩ সালের ১১ জুন মোংলা পোর্ট স্কুলের পাশে বন্দর কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন, ২১নং ওয়ার্ডে শিল্প ব্যাংকের পেছনে এবং ২০নং ওয়ার্ডে আহত ও পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সমবায় সমিতির জমিতে নভোথিয়েটার নির্মাণের প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়। কিন্তু এসব জমি পাওয়া কঠিন হওয়ায় পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে অন্য স্থানে জমি দেখার পরামর্শ দেয়া হয়। এরপর সার্বিক বিষয় নিয়ে ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্র“য়ারি খুলনা সার্কিট হাউজে কেসিসি ও জেলা প্রশাসন ও সমন্বয় সভায় মুজগুন্নি মৌজার পর্যটন কর্পোরেশনের ৫ দশমিক ৯৬ একর জমিতে নভোথিয়েটার নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়। কিন্তু ওই জমি পর্যটন কর্তৃপক্ষের হওয়ায় বাস্তবয়নে অন্তরায় দেখা দেয়। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) দিলীপ কুমার বসাক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) আবুল বাশার মোঃ জহুরুল ইসলাম খুলনায় আসেন। তারা নগরীর জিরোপয়েন্ট ও পেট্রোল পাম্পের মধ্যবর্তী কৃষ্ণনগর মৌজার ১০ একর জায়গা পছন্দ করেন। ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর পরিদর্শন প্রতিবেদনে ওই স্থানেই নভোথিয়েটার স্থাপনে সম্মতি প্রদান করা হয়।

খুলনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা থেকে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর ওই ১০ একর জমি অধিগ্রহণের প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। ওই মাসেরই ২৮ নভেম্বর বিষয়টি জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়। কিন্তু চিঠিতে পুর্ণাঙ্গ প্রস্তাব না থাকায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাগজপত্র সংযুক্ত ও বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এরপর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে খুলনায় আর কোনো নির্দেশনা আসেনি।

গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সমীর কুমার বিশ্বাষ বলেন, প্রকল্পের ডিজিটাল সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে ও কাজের প্রাক্কলন মূল্য ৩৪৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা নির্ধারণ করে ঢাকাস্থ গণপূর্ত মনিটরিং বিভাগের প্রেরণ করা হয়। কিন্তু পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। তবে নভোথিয়েটারের কাজ দ্রুত শুরুর জন্য সিটি মেয়র, খুলনা-৬টি সংসদীয় আসনের জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় সরকারি দলের নেতাদের সঠিক তদারকি প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর