তালায় বাল্যবিবাহের হাত থেকে মুক্তি পেল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়া দাস। সে উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সুজনসাহা গ্রামের পাচু গোপাল দাসের কন্যা। বর্তমানে ঐ মেয়েকে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হেফাজতে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন। তবে মেয়ের পিতা পাচু গোপাল দাস পলাতক রয়েছে।
তালা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাজমুন নাহার জানান, বেশ কিছুদিন ধরে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী জয়া দাস বিয়ে দিতে মরিয়া তার বাবা। ইতোপূর্বে দুই বার ছেলে পক্ষ তাকে দেখে গেছে। শুক্রবার (২ জুন) তাদের বাড়িতে ছেলে পক্ষ আসার কথা ছিল। অথচ মেয়েটি কোনভাবে বিবাহ করতে রাজি না। সে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে চায়। শুক্রবার সকালে জয়া দাসের বিয়ের খবর জানতে পেরে তিনি স্থানীয় কিশোর কিশোরী ক্লাবের আবৃত্তি শিক্ষক শেফালি দাসকে ওই বাড়িতে পাঠান। এ সময় মেয়েটি ভয়ে ঐ শিক্ষকের সাথে তাদের বাড়িতে চলে আসে। পরে বিষয়টি তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন, তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম ও ইসলামকাটি ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুককে অবহিত করা হয়। এ সময় উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আপাতাত ঐ মেয়েকে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার হেফাজতে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন।
তালা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।