তালা উপজেলার সদর ইউনিয়নের আটারই গ্রামে শিল্পী আক্তার (২৩) নামের এক নারীর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার একমাস পর মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে গ্রামবাসি। শনিবার (৫ আগষ্ট) সকালে উপজেলার খেজুরবুনিয়া বাজারে এই মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শতাধিক নারী-পুরুষসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ উক্ত মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে। স্বামী পরিত্যক্তা শিল্পী আক্তার মারজিয়া ইসলাম নামের ৫ বছরের একটি শিশুকন্যা রেখে গেছে।
সূত্র মতে, তালা উপজেলার আটারই গ্রামের সোবহান আলী সরদারের স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে শিল্পী আক্তার গত ৩ জুলাই গভীর রাতে মৃত্যুবরণ করে। পারিবারিক ভাবে জানানো হয় সে দীর্ঘদিন যাবত মারাত্মক অসুস্থ ছিল। সেই অসুস্থতার কারণে তার মৃত্যু হয়। তবে এ সময় শিল্পী খাতুনের লাশের পাশে তার মা ফরিদা বেগম ছাড়া কাউকে লাশ দেখতে দেয়া হয়নি। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে ধ্রুমজালের সৃষ্টি হয়। তবে শিল্পী আক্তারের গোসলের সময় সেখানে থাকা মহিলাদের নজরে আসে মৃত্যু দেহের গলায় কোন কিছুর প্যাঁচানো দাগ এবং ঘাড়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ঐ সময় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত না করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তড়িঘড়ি করে লাশটি দাফন করা হয় বলে জানা গেছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী আঃ হালিম শেখ, হাবিবুর রহমান, শিমুল ইসলাম, মিন্টু সরদার, মোঃ হাফিজুর রহমান, মোঃ মুজাহিদ, ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন জানান, শিল্পীর পিতা জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়াতে আছেন। যার কারণে তার চাচার সঙ্গে মায়ের পরকীয়া সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। মা ও চাচার বিষয়টি বুঝতে পেরে গভীর রাতে পরিকল্পিতভাবে শিল্পীকে হত্যা করে। এ সময় প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়নি বলে জানান তারা।
তবে শিল্পীর মা জানান, তার কন্য ষ্ট্রোক জনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে তালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, একটি মানববন্ধনের কথা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে থানায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।