আজ || শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪
শিরোনাম :
 


ডুমুরিয়ায় ভ্রাম্যমান মাছ বাজার, নিরাপদ তাজা মাছ কিনছেন প্রতিবন্ধী, মহিলা সহ সবাই

গত ৩০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে চলমান মৎস্য অধিদপ্তর, ডুমুরিয়ার  উদ্যোগে ডুমুরিয়া মৎস্য প্রডিউসার অর্গানাইজেশন, পিও এর বাড়ি বাড়ি যেয়ে মাছ বিক্রয় কার্যক্রম প্রত্যন্ত এলাকায় সাড়া ফেলেছে। সরেজমিনে দেখা যায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ডুমুরিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও পিও যৌথ ভাবে মানুষের দোরগোড়ায় যেয়ে নিরাপদ ও তাজা ভেটকি, রুই, কাতল, দেশি পুঁটি, টেংরা, তেলাপিয়া, গলদা এবং বাগদা চিংড়ী মাছ বিক্রিয় করছেন।

নিরাপদ মাছ খান, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ান এবং ভয় নয়, সচেতনতায় হবে জয়। এই স্লোগানকে সামনে রেখে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করােনা গৃহবন্ধী মানুষের দোরগােড়ায় মান সম্পন্ন নিরাপদ মাছ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন। ভ্রাম্যমান বাজারে এ সপ্তাহে রংপুর ও ডুমুরিয়া সদরে মাছ বিক্রি করেন পিও সভাপতি  খান চঞ্চল আহমেদ ও  পিও ম্যানেজার মোঃ ইদ্রিস আলী জর্দ্দার। এ দিনও ভ্রাম্যমান বাজার টিমে উপস্থিত থেকে পিও সংশ্লিষ্টদের উৎসাহিত করেন ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আবুবকর সিদ্দিক, সহকারি মৎস্য কর্মকর্তা চিত্তরঞ্জন পাল, দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারি এস এম সাদ্দাম হোসাইন, আব্দুস সালাম বিশ্বাস,  শেখ ইভান আহমেদ ও দপ্তরের সহায়ক মোঃ রায়হান সরদার।

সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলেন করোনার ভয়ে মানুষ ঘর হতে বের হতে পারছেন না। ফলে বাজার হতে মাছ কেনা সম্ভব হচ্ছে না। সুস্থ্য থেকে করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য বেশি বেশি মাছ খাওয়া খুবই জরুরী। অন্য দিকে বাজারে চাহিদা ও দাম কম থাকায় চাষিরা মাছ ধরতে ভয় পাচ্ছেন। এতে মারাত্বক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন চাষিরা। এ জন্য উপজেলা মৎস্য দপ্তর, ডুমুরিয়া, পিও, লিফ ও সিআইজি সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে ভ্রাম্যমান নিরাপদ মাছ বাজার চালু করা হয়।

তিনি আরও বলেন নিরাপদ মাছ বাজার ও পিও ব্যবস্থাপনায় চলতি সপ্তাহে ৩ লক্ষাধিক টাকা ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে। নিরাপদ মাছ বাজারের মাধ্যমে বিক্রয়কৃত মাছ তাজা, নিরাপদ, দাম ক্রয় সীমার মধ্যে, হোম ডেলিভারি হওয়ায় সাধারন মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। গ্রামের মহিলা, পঙ্গু বা বাজারে যেতে অক্ষম এমন ক্রেতার আগ্রহ বেশি।


Top