করোনা টেস্ট ফ্রি, খুলনায় অবিলম্বে নতুন পর্যাপ্ত শয্যা সম্বলিত করোনা ডেভিকেন্টেড হাসপাতালের কার্যক্রম শুরুসহ বিভিন্ন দাবিতে ছাত্র ইউনিয়ন, যুব ইউনিয়ন, টিইউসি, ক্ষেতমজুর সমিতি, কৃষক সমিতির উদ্যোগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিত্বশীল অংশগ্রহণে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষক সমিতির খুলনা জেলা সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলা সভাপতি এড. নিত্যানন্দ ঢালীর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে সংহতি প্রকাশ করেন বিশিষ্ট নাগরিক নেতা এড. কুদরত-ই-খুদা, উন্নয়ন সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মনিরুজ্জামান রহিম, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র মহানগর সাধারণ সম্পাদক ও যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার, সিপিবি নেতা মিজানুর রহমান বাবু, সমাজকর্মী শাহ্ মোঃ লায়েক উল্লাহ, ক্ষেতমজুর নেতা নিতাই পাল, টিইউসি নেতা রঙ্গলাল মৃধা, সাইদুর রহমান বাবু, ছায়াবৃক্ষের মাহবুব আলম বাদশা, যুব ইউনিয়ন নেতা প্রভাষক জয়ন্ত মুখার্জী, এড. খান আজরফ হোসেন মামুন, আফজাল হোসেন রাজু, সৈয়দ রিয়াসাত আলী রিয়াজ, উজ্জ্বল বিশ্বাস, শেখ রবিউল ইসলাম রবি, ডাঃ গৌরাঙ্গ সমাদ্দার, বাবুল শরীফ বাবু, ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আজিজুল খান আরমান, সোমনাথ দে, জয় দাশ প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি মেডিকেল কলেজকে জরুরি ভিত্তিতে সরকারের নিয়ন্ত্রণে এনে ফ্রি টেস্ট ও চিকিৎসা, দ্রুত করোনা ডেভিকেন্টেড হাসপাতাল ও বেড সংখ্যা বৃদ্ধি, টেস্ট সংখ্যা বাড়াতে আরও কমপক্ষে ৫টি আর-টি পিসিআর ল্যাব চালু, করোনা চ্যাম্পেল সংগ্রহে খুলনা সিটিতে আরও কমপক্ষে ৮টি বুথ স্থাপন, ফ্লু-কর্নার ও আইসোলেশন ওয়ার্ডের সক্ষমতা বাড়ানো ও সার্বক্ষণিক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংযুক্তি, চিকিৎসক-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীদের পর্যাপ্ত ও মানসম্মত সুরক্ষা সামগ্রী ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, জীবন বাঁচাতে করোনা হাসপাতালে লিকুইড অক্সিজেন প্লান্ট ও ন্যূনতমপক্ষে ৩টি হাইফ্লোন্যাসাল ক্যানুলা সরবরাহ করতে হবে। অন্যথায় খুলনা মৃত্যুনগরীতে পরিণত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা বিদ্যমান। সম্পদ ও ক্ষমতাশালীরা খুলনার বাইরে যেয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করছেন ও পারবেন কিন্তু অসহায় সাধারণ মানুষ চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুবরণ করবেন। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।