সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সরকার ধান ক্রয় করার উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এদিকে ধান ক্রয়ে যেন কোন প্রকার র্দূনীতি, স্বজনপ্রীতি বা কারো রোয়ানলে পড়তে না হয় তার জন্য স্ব স্ব ইউনিয়নে জন সম্মুখে লটারীর ব্যবস্থা গ্রহন করেছে কৃষি অধিদপ্তর।
সেই লক্ষ্যে রবিবার সকাল ১১টার সময় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের ঝাঁপা ইউনিয়ন পরিষদের হল রুমে ইউনিয়নের তালিকা ভুক্ত ২৭৯১ জন ইরি বোরো ধান চাষিদের মাঝে ওপেন হাউজে লটারী করে ২৭২ জন চাষির ভাগ্য নির্ধারন করা হয়েছে। এবং আরো ১৩৫ জনের নাম অপেক্ষা মান রাখা হয়েছে। লটারী খেলাটি পরিচালনা করেন মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি সামছুল হক মন্টু, লটারী তদারকী কর্মকর্তা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার প্রকাশ চন্দ্র সরকার, ইউনিয়ন আ,লীগের সভাপতি মাষ্টার খোরশেদ আলম, সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাউসার আহমেদ, সাংবাদিক আনিছুর রহমান, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ভগিরাত চন্দ্র ও সুব্রত বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পরিষদ সচিব এনামুল কবির, ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম, আব্দুল গফুর, সহ সকল সদস্য/সদস্যা বৃন্দ, তথ্য সেবা কেন্দ্রের সোহাগ হোসেন ও ইউনিয়নের ধান চাষি কৃষকরা।
উল্লেখ্য ঝাঁপা ইউনিয়নের লটারীতে ভাগ্য নির্ধারন করা ২৭২ জন ধান চাষিদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ১ মেট্রিকটন করে ধান ক্রয় করবে সরকার। এ বিষয়ে উপজেলা কুষি কর্মকর্তা হীরক কুমার বলেন, ইতি পূর্বে সরকারী ভাবে ধান ক্রয়ে অনেক দূর্নীতি হয়েছে। প্রকৃত ধান চাষিরা সরাসরি সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারেনি। যার কারনে এ বছর ধান চাষিদের উপস্থিতিতে প্রতিটা ইউনিয়নে ইউনিয়নে লটারীর ব্যবস্থা করেছি। লটারী বিজয়ী কৃষকদের আর ভোগান্তি পেতে হবেনা, তারা সরাসরি সরকারের কাছে প্রতিমন ধান ১০৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারবে।