করোনাভাইরাস চিকিৎসার ক্ষেত্রে এবার চীনকে টেক্কা দিল ভারত। কোভিড-১৯ আক্রান্তের জন্য অস্থায়ী বৃহত্তম হাসপাতাল তৈরি হয়েছে দেশটির রাজধানী দিল্লির দক্ষিণাঞ্চলে।
হাসপাতালটি চীনের সবচেয়ে বড় কোভিড হাসপাতালের থেকেও ১০ গুণ বড়। দক্ষিণ দিল্লির চত্বরপুরের রাধাস্বামী সৎসঙ্গ বিয়াস কমপ্লেক্সে এ হাসপাতালে একসঙ্গে ১০ হাজারেরও বেশি রোগীর চিকিৎসা দেয়া সম্ভব।
বৃহস্পতিবার থেকে হাসপাতালটি চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস। প্রায় ২২টি ফুটবল মাঠের আয়তনের সমান এ হাসপাতালের নাম সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার।
চীনের লিসেনশনে সাময়িকভাবে স্থাপন করা বৃহত্তম কোভিড হাসপাতালে একসঙ্গে এক হাজার রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হতো। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে চীন তাদের হাসপাতাল নির্মাণের একটি ভিডিও সামনে আনে।
ভারতের হাসপাতালটির বর্ণনায় হিন্দুস্তান টাইমস লিখেছে, পাঁচটি সারিতে লোহার ১৬টি করে খাট সাজানো। হাসপাতালের শয্যাগুলো প্রস্তুত। উপরে ঘুরছে ফ্যান।
প্রতিটি বিছানার পাশে একটি ধূসর প্লাস্টিকের চেয়ার আছে। আর একটি টুলের ওপর রয়েছে সিল করা একটি পানির বোতল ও ছোট সাবান। তবে ফ্লোর এখনও কর্দমাক্ত।
এগুলোর বিষয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (দক্ষিণ) ডিএম মিশ্রা বলেন, ‘মাটির মেঝে কার্পেট দিয়ে আচ্ছাদিত করা হবে এবং তার ওপরে সহজেই পরিষ্কার করার জন্য ভিনাইল শিট বিছানো হবে।
হাসপাতালটি ১৮ হাজার টন এয়ারকন্ডিশনার দিয়ে শীতল করা হবে।’ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় চিকিৎসা অবকাঠামো বাড়াচ্ছে দিল্লি। কেন্দ্রশাসিত এ রাজ্য সরকার ৪০টি হোটেল এবং ৭৭টি ব্যাংকেট হলকে অস্থায়ী হাসপাতাল স্থাপন করে রোগীদের জন্য শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।
এতে অসুস্থ রোগীদের জন্য ১৫ হাজার ৮০০ শয্যা তৈরি করা যাবে। এছাড়া পাঁচ শতাধিক রেলওয়ে কোচ শহরের কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য আরও ৮ হাজার শয্যা যুক্ত করবে।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে বলেন, এসব সুবিধার একটি বড় অংশ শুক্রবারের মধ্যেই চালু হবে এবং ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ (আইটিবিপি) দ্বারা পরিচালিত হবে।
হাসপাতালে তিনটি পৃথক বিভাগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইএএস অফিসার এবং মেহরুলির উপ-বিভাগীয় (এসডিএম) সোনালিকা জওয়ানি।
তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড়টি রোগীদের, অন্যটি নার্স ও চিকিৎসকের জন্য এবং তৃতীয়টি কমান্ড বিভাগ হিসাবে কাজ করবে। রোগীদের জন্য ১১৬টি সেকশনের প্রতিটিতে ৮৮টি করে শয্যা রয়েছে।