কালিগজ্ঞ উপজেলার চাম্পাফুলে নদী ভেঙ্গে প্লাবিত বাগদার পোনার হ্যাচারী ও মৎস্য ঘের, কোটি টাকার উপরে ক্ষয়-ক্ষতি।
এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। একেতো মহা দুর্যোগ কভিড-১৯ নভেল করোনা ভাইরাসের জ্যামিতিক হারে সংক্রমণ বৃদ্ধিসহ মৃত্যুর মিসিলে দিন দিন যোগ হচ্ছে লাশের কাতার অন্যদিকে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে দক্ষিণ এলাকার একমাত্র ব্যাবসা সাদা সোনার পোনার হ্যাচারী, নদী পাড়ের জনবসতি, চিংড়ি ঘের, মনোসেক্সের ঘেরসহ বিভিন্ন প্রকার সাদা মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে কোটি টাকার উপরে সম্পদের ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
নদী ভাঙ্গন প্রাকৃতিক দুর্যোগ হলেও বর্তমানে মানব সৃষ্ট কারণে চাঁদখালী, উজিরপুর, ত্রিমোহনী, জগদীশ কাটি, কুমারখালীসহ বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চাঁদখালী আমিনিয়া হামিদিয়া সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদ্রাসা, ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর রাফিজা খাতুন ও তার পরিবার, ইলেকট্রিশিয়ান আবু সাইদ গাইন, আবু বক্কারের পরিবার, আনোয়ার হোসেন, ফারুক হোসেন, আমজাদ হোসেন, জালাল, আলিমেন, মমতাজ, রহমত আলীর পরিবার, বিশ্বাস পাড়া, রবীন্দ্র সরকারের মাছের হ্যাচারী, পিয়ার আলীর স’ মিল, সহ প্রায় শতাধিক লোকের বাড়ি-ঘর প্লাবিত হয়েছে। এ জন্য এলাকাবাসী অগোছালো নদী খননকে দায়ী করেছেন।
এলাকা ঘুরে দেখা গেছে দীর্ঘ দিন ধরে নদী খননের নামে নদী পাড়ের বেড়ী বাঁধ, রাস্তা-ঘাট নষ্ট করে ফেলেছে। এ ব্যাপারে পউবোকে বার বার অবহিত করেও কোন ফল পাওয়া যাইনি। করোনা সংক্রমণ রোধ করতে হোম কোয়ারেন্টাইন পালন করার মত যায়গাও থাকলনা এ এলাকার জনগনের। অনেকে বিষক্ত সাপের উপদ্রবের কথা ভেবে ভয় পাচ্ছে। এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী।