বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’র সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে খুলনার ৩৬১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় এলাকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৫০ জনকে এসব আশ্রয় কেন্দ্রে আনার পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, ঝড়ের সার্বিক বিষয়ে পরযবেক্ষণের জন্য জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে মাইকিং শুরু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতি এড়াতে জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ ও বটিয়াঘাটাসহ বিভিন্ন উপজেলায় রেডক্রিসেন্ট, সিপিপিসহ ২ হাজার ৪৬০ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করছেন। এছাড়া বেসরকারি এনজিও’র উদ্যোগে রয়েছে আরও ১ হাজার ১০০ স্বেচ্ছাসেবক। এরই মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়েছে। সেখানে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি দেখে প্রয়োজনে উপকূলবাসীকে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা কাজ করছেন। উপকূলবাসীকে সতর্ক করতে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিংসহ নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, করোনার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আশ্রয় কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কাজে লাগানো হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে রোববার খুলনা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় ঘূর্ণিঝড় আম্ফান’র ক্ষতি এড়াতে পূর্বপ্রস্তুতির বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে বলা হয়, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্ফান খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। ঘূর্ণিঝড়’র ক্ষতি এড়াতে সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় প্রশাসনকে উপকূলবর্তী উপজেলাগুলোর আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা, রেডক্রিসেন্ট ও স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুতি রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়।