খুলনায় লকডাউন বাস্তবায়নে কাজ করছে পুলিশ

খুলনার চিত্র ডেস্কঃ
  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ২৬ জুন, ২০২০

খুলনায় লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় নিরালা মোড়ে লকডাউন বিষয়ে কেএমপির এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় সরদার রকিবুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি খুলনা মহানগরীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে লকডাউন কার্যকর হয়েছে। এই লকডাউন প্রক্রিয়াকে আমরা শতভাগ কার্যকর ও করোনা প্রতিরোধের জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। দুই শিফটে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২৩টি ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২৪টি পয়েন্টকে আমরা নির্ধারণ করেছি। প্রত্যেকটি জায়গায় সিটি করপোরেশন কর্তৃক সেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করা হয়েছে। সেচ্ছাসেবক দলের পাশাপাশি পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন সর্বোপরি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক মহোদয়ের সহযোগিতায় লকডাউন প্রক্রিয়া সফল করা হবে। জনসাধারণের নিত্যপ্রয়োজনী দ্রব্য, ওষুধ, খাদ্য দ্রব্যের বা অন্য কোন সমস্যা যাতে না হয় এজন্য আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবো। এ জন্য সবার সহযোগিতা আমার প্রত্যাশা করি। আশা করি ২১ দিনের এ লকডাউন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করোনা মুক্ত খুলনা গড়তে পাবরো।

খুলনায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনের ১৭ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড এবং রূপসার আইচগাতি ইউনিয়নকে রেডজোন ঘোষণা করে ২৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট থেকে ১৬ জুলাই রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২১ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।

বুধবার (২৩ জুন) খুলনার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের এক গণবিজ্ঞপ্তিতে রেড জোন এলাকায় বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।

বিধি নিষেধের মধ্যে রয়েছে- রেডজোনে বসবাসকারী চাকরিজীবীরা বাসায় থেকে অফিসের কাজ করবেন। জরুরি প্রয়োজনে (যেমন ওষুধ ক্রয়) অনুমতি সাপেক্ষে বাসা থেকে বের হওয়া যাবে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজি, ট্যাক্সি, মোটরসাইকেল, নিজস্ব গাড়িসহ কোনো যানবাহন চলবে না। অ্যাম্বুলেন্স সেবা এই আদেশের আওতাবর্হিভূত থাকবে। এসব এলাকায় কলকারখানা বন্ধ থাকবে। অতি জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়ার ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধানসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। কোন ধরনের জনসমাবেশ করা যাবে না। কেবলমাত্র অসুস্থ ব্যক্তি হাসপাতালে যেতে পারবেন। রেড জোনে অন্য এলাকা থেকে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। রেডজোনে মুদি দোকান, ওষুধের দোকান খোলা থাকবে। রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে কেবলমাত্র হোম ডেলিভারি সার্ভিস চালু থাকবে। তবে শপিংমল, সিনেমা হল, জিম, স্পোর্টস কমপ্লেক্স বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। মসজিদ ও উপাসনালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ইবাদত করতে পারবেন। অন্যরা নিজ নিজ বাড়িতে ইবাদত করবেন।

সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও কাঁচাবাজার এর আওতামুক্ত থাকবে।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর