করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ১১ জুন থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত খুলনা জেলার সকল উপজেলা ও মহানগরীতে দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখা সহ যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেন খুলনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেন । ১১ জুন,বৃহস্পতিবার বিধি নিষেধ জারির প্রথম দিনে খুলনা মহানগরের সাতরাস্তা,শিববাড়ি, সোনাডাঙ্গা, পিকচার প্যালেস মোড়, ডাক বাংলার মোড়, শান্তিধাম মোড়ে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল চোখে পরার মত। সরেজমিনে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় দোকান পাট বন্ধ থাকলে ও অনেকে অপ্রয়োজনে সড়কে ঘোরাঘুরি করতে । অনেকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সহ স্বাস্থ্য বিধি তোয়াক্কা না করে রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে দেদারসে। এ বিষয়ে সচেনতন নাগরিকরা বলেন বিধি নিষেধ থাকলে ও কঠোর ভাবে বাস্তবায়ন না থাকায় অনেকে সে সুবিধা নিয়ে রাস্তা ঘাটে অবাধ ভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছে ফলে প্রতিনিয়ত করোনার আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ছে খুলনায় । এসময় তারা বলেন প্রশাসন কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করলে প্রয়োজন ছাড়া ঘোরাঘুরি অনেকাংশে কমে আসবে বাকি দিন গুলাতে। এদিকে বুধবার জেলা প্রশাসনের এক তথ্য বিবরণীতে বলা হয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, কাঁচাবাজার, মৌসুমি ফলের দোকান ও ফার্মেসি ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট, শপিংমল ও ফুটপাথের দোকান বন্ধ থাকবে। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও জীবাণুনাশক ব্যবহার করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ও কাঁচাবাজার প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে কেসিসি সান্ধ্যবাজার ও সোনাডাঙ্গা ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন পাইকারি কাঁচাবাজারের ক্ষেত্রে খুলনা জেলা প্রশাসনের আগের আদেশ বহাল থাকবে। এ ছাড়া ফার্মেসিও সার্বক্ষণিক খোলা রাখা যাবে। এছাড়া তথ্য বিবরণী অনুযায়ী জনসাধারণ অতি জরুরি প্রয়োজন যেমন ওষুধ ক্রয়, চিকিৎসাসেবা, লাশ দাফন-সৎকার ছাড়া ঘর সন্ধ্যা ৬ থেকে সকাল ৭ টা পর্যন্ত বের হওয়া যাবে নাহ ।ঘরের বাইরে অবস্থানের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, শারীরিক দূরত্ব প্রতিপালনসহ অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। জরুরি পরিষেবা যেমন বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস,ব্যাংক-বীমা, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা এবং কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি , সংবাদপত্র, খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পরিবহনের যানবাহন এই আদেশের আওতামুক্ত রাখা হয়। খুলনায় করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর অবস্থার অংশ হিসেবে খুলনা জেলার সকল উপজেলা ও মহানগরীতে দোকানপাট, শপিংমল বন্ধ রাখা , যানবাহন ও জনসাধারণের চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।