শিরোনাম

খুলনায় করোনা রোগীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ, ওয়ার্ডবয়কে চাকরিচ্যুত

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৫ জুন, ২০২০

করোনার ভয়ে তটস্থ গোটা পৃথিবী। বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। দেশের হাসপাতালগুলো রোগী সামলাতে হিমশিম। ছোঁয়াচে রোগ হওয়ায় রোগীর কাছে ঘেঁষতে পারেন না যে কেউ। তবু এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত এক নারীকে হাসপাতালে যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।

ঘটনাটি নূরনগর এলাকায় অবস্থিত খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত এক ওয়ার্ডবয় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নজরুল নামে ওই ওয়ার্ডবয়কে সোমবার (১৫ জুন) চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানির পর ওই হাসপাতালে ভর্তি অন্য রোগীও অস্বস্তিতে পড়েন। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ভ‌র্তির পরদিন থে‌কে নজরুল না‌মে এক ওয়ার্ড বয় আমার কা‌ছে কার‌ণে অকার‌ণে এ‌সে উপকার কর‌তে চাই‌তো। তা‌কে গুরত্ব না দিলে তখন নানা ধর‌নের কথা বল‌তো। গত শনিবার (১৩ জুন) রাত ২টার দি‌কে ওই ওয়ার্ড বয় আমা‌কে ডা‌কে এবং শ্লীলতাহানী ক‌রে। সঙ্গে সঙ্গে আ‌মি সবাই‌কে বিষয়টি জানাই।

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, করোনা আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূ গত ৬ জুন খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি হন। গত ১৩ জুন রাতে এক ওয়ার্ডবয় পিপিই পরে ওই রোগীর কাছে গিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে ওই রোগীর শরীরে স্পর্শকাতর অঙ্গে হাত দিয়ে হয়রানি করে। বিষয়টি নার্সরা দেখে ফেলায় ওয়ার্ডবয় নজরুল দ্রুত সটকে পড়ে।

খুলনা করোনা হাসপাতাল পরিচালনা করছে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সী মো. রেজা সেকেন্দার বলেন, ওই রোগীকে সোমবার ছাড়পত্র দিয়ে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ওই ওয়ার্ডবয়কে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে রোগী বা তার স্বজনরা লিখিত কোনো অভিযোগ দেয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-৩ এর স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদ আহমেদ বলেন, চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত ওই গৃহবধূকে যৌন হয়রানির দায়ে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে কেবল চাকরি থেকে অব্যাহতি দিলেই তার শাস্তি শেষ হবে না। সে যে অপরাধ করেছে এটা বড় ধরনের অপরাধ। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত ছিল। তাকে পুলিশে দেওয়া উচিত ছিল। মামলা যদি তার পরিবার না করে তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।

সংশ্লিষ্ঠ আরও খবর