খুলনায় করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে একজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া দু’জনের বাড়ি খুলনায়, দু’জনের বাড়ি বাগেরহাট ও একজনের বাড়ি সাতক্ষীরায়। এছাড়া খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নতুন করে আরও ১১০ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আজ শনিবার ভোর ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টার মধ্যে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড ফ্লু কর্নার ও করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে এ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিকেল সাড়ে ৪টায় করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে বাদশা (২৭) নামে এক যুবক মারা যান। তিনি বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সাত বাড়িয়া গ্রামের মৃত ইয়াদ আলীর ছেলে। গত ৮ জুলাই রাত ৯টায় তিনি করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের ফোকাল পার্সন ডা. শেখ ফরিদ উদ্দীন আহমেদ তার মৃত্যুর তথ্য নিশ্চত করেছেন।
এদিকে ভোর ৫টায় খুলনা ডুমুরিয়া উপজেলার মিকশিমিল গ্রামের ফাতেমা (৫৫), সকাল পৌনে ৬টায় সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের মন্দকাঠি গ্রামের মরিয়ম (৫০), পৌনে ৯টায় খুলনার খানজাহান আলী থানার মশিআলী এলাকার হালিমা বেগম (৭৮), বিকেল পৌনে ৪টায় বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আকবাটি গ্রামের আব্দুস সালাম (৫০) করোনা উপসর্গ নিয়ে খুমেকের ফ্লু কর্নারে মারা যান।
ফ্লু কর্নারের ফোকাল পার্সন (আরএমও) ডা. মিজানুর রহমান তাদের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কিনা পরীক্ষার পর তা জানা যাবে।
এছাড়া এদিন খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নতুন করে ১১০ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুমেকের উপাধ্যাক্ষ ডা. মেহেদি নেওয়াজ জানান, ল্যাবে ২৮২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে খুলনার নমুনা ছিল ২৪২টি। পরীক্ষার পর ১১০টি নমুনায় পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। যার মধ্যে খুলনার ৯৮টি, যশোরের তিনটি, বাগেরহাটের চারটি, নড়াইলের দু’টি, বরিশালের একটি, বরগুনার একটি ও ঢাকার একটি নমুনা রয়েছে।