খুলনায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৪২ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন, সুস্থ্য হয়েছেন ৫১ জন, বাকিরা এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে এ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় নারীদের তুলনাই পুরুষের সংখ্যা অনেক বেশি। বাইরে ঘোরাঘুরি করায় পুরুষরাই বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন খুলনা সিভিল সার্জন।
শনিবার (১৩ জুন) বিকেলে খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় করোনায় মোট আক্রান্তের ৬৮ শতাংশ পুরুষ, ২৬ শতাংশ মহিলা ও ৬ শতাংশ শিশু। আর আক্রান্তের সংখ্যায় শীর্ষে রয়েছে খুলনা মহানগরী। সেখানে এ পর্যন্ত শনাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা ২৪০ জন। এছাড়া দাকোপে ১০ জন, বটিয়াঘাটায় ৫ জন, রুপসায় ২৬ জন, তেরখাদায় ৬ জন, দিঘলিয়ায় ৩০ জন, ফুলতলায় ৭ জন, ডুমুরিয়ায় ১১ জন, পাইকগাছায় ৪ জন ও কয়রায় ৩ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
এছাড়াও বাইরে থেকে খুলনায় আসায় গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত মোট ৪ হাজার ৫৫৮ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল। তবে ১৪ দিন মেয়াদ পার হওয়ায় ৩ হাজার ৯৪৬ জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বাকিরা এখনো কোয়ারেন্টিনে আছেন।
খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৩ এপ্রিল মহানগরের করীমনগর এলাকার এক বৃদ্ধের। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগী মারা যান গত ২১ এপ্রিল রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, প্রতিনিয়ত খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবুও মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। অকারণে অনেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। আর বাইরে ঘোরাঘুরির কারনে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। নারীদের তুলনাই পুরুষদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো বাইরে ঘোরাঘুরি করা।’
তিনি আরো বলেন,‘ঈদের আগে ঢাকা থেকে অসংখ্য মানুষ খুলনায় এসেছে। ঈদের সময় লোকজন মার্কেটে ঘুরেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা এবং স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে সংক্রমণ বেড়ে গেছে। বিভাগের মধ্যে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে খুলনা জেলা এখন শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। আক্রান্তের হার দ্রুত বাড়ায় নতুন হটস্পট হয়েছে খুলনা মহানগরী এলাকা। করোনা থেকে বাঁচতে হলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।’