খুলনায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৫ জন। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্ত হয়েছেন ৯২ জন। এদের মধ্যে ২ জনের ফলোআপ রিপোর্ট, বাকি ৯০ জনই নতুন শনাক্ত। জেলায় এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। আর সুস্থ হয়েছেন ৪৭৪ জন। এদিকে আজ রবিবার করোনার উপসর্গ নিয়ে খুলনায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। রাতে সংশ্লিস্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, রবিবার খুমেকের আরটি-পিসিআর মেশিনে মোট ২৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে খুলনার নমুনা ছিলো ২৫৮টি। এদের মধ্যে মোট ১০০ জনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। যার ৯২ জন খুলনা জেলা ও মহানগরীর। তাদের মধ্যে ৯০ জনই নতুন শনাক্ত, বাকি ২ জনের ফলোআপ রিপোর্ট। এছাড়া বাগেরহাট জেলার ৫ জন, যশোরর জেলার ২ জন ও নড়াইল জেলার একজন রয়েছেন।
খুলনা জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা উষা জানান, রবিবার সকাল পর্যন্ত খুলনায় আক্রান্ত ছিলেন ২ হাজার ৪৩৫ জন। সন্ধ্যায় নতুন ৯০ জন শনাক্ত হওয়ায় এর সংখ্যা দাড়িয়েছে ২ হাজার ৫২৫ জনে। এদের মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪৭৪ জন।
তিনি আরও জানান, খুলনায় আক্রান্তের মধ্যে ১ হাজার ৯২৫ জনই মহানগরীর। বাকিরা অন্যান্য উপজেলার। জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে ১ হাজার ৫৯৬ জন পুরুষ, ৭০৭ জন মহিলা ও ১৩২ জন শিশু রয়েছেন।
এদিকে খুলনায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। দুইজনই রূপসা উপজেলার নৈহাটি ইউনিয়নের বাসিন্দা। গতকাল রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে তাদের মৃত্যু হয়। মৃতরা হলেন, নৈহাটি ইউনিয়েনের রহিমনগর গ্রামের শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো: অপু (৩৪) ও নৈহাটি গ্রামের আলী আকবর শেখের স্ত্রী আমেনা বেগম (৭৫)।
খুলনা হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুন্সি রেজা সেকেন্দার জানান, গত শনিবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্ণারে ভর্তি হন অপু। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউেিত নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার বিকেল পৌণে ৫ টায় তিনি মারা যান।
এছাড়া রবিবার জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও স্ট্রোক জনিত সমস্যা নিয়ে আমেনা বেগম খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফ্লু-কর্ণারে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নেওয়াকালীন সময়ে হাসপাতালের সামনে এ্যাম্বুলেন্সেই দুপুর ১২টায় মারা যায়। মৃত ব্যক্তিরা করোনা আক্রান্ত ছিলেন কি না তা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।