খুলনায় অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েই চলেছে করোনো পজেটিভ রোগীর সংখ্যা। আগে প্রতিদিন ১/২ করে রোগী পড়লেও সম্প্রতি একদিনেই শতাধিকের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরের পর থেকেই খুলনায় রোগীর সংখ্যা বেড়ে গেছে। এদিকে সার্বিক অবস্থা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় এলাকা রেডজোনসহ, লকডাউন এবং প্রয়োজনে কার্ফু দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা সিভিল সার্জন অফিস থেকে গত ১৬ জুন কয়েকটি এলাকা রেডজোন এলাকা ঘোষণা করার জন্য খুলনা জেলা প্রশাসনের নিকট সুপারিশ করলেও এ বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।
খুলনা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ মে খুলনা জেলায় করোনা পজেটিভ রোগী ছিল মাত্র ২১ জন এবং এক মাসের ব্যবধানে গত ২০ জুলাই রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮শ’তে। সম্প্রতি অস্বাভাবিক ভাবে করোনা পজেটিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় গত ১৬ জুন সিভিল সার্জন অফিস থেকে জেলার ২টি ইউনিয়ন ও কেসিসি’র ১২টি ওয়ার্ডে রেড জোন ঘোষণার সুপারিশ করা হয়। এগুলো হল রূপসা উপজেলার আইচগাতী ইউনিয়ন, দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটি, কেসিসি’র অর্ন্তগত ৮, ৯, ১৪, ১৬, ১৭, ১৮, ১৯, ২১, ২২, ২৪, ২৮ এবং ৩০নং ওয়ার্ড। কিন্তু গতকাল শনিবার বিকেল পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
খুলনার সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, আমরা নগরীর কয়েকটি ওয়ার্ডসহ দুই উপজেলার কয়েকটি জায়গা রেড জোন ঘোষণা করার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট সম্প্রতি সুপারিশ করেছি। তবে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তিনি বলেন, খুলনা জেলা এখনই লকডাউনসহ প্রয়োজনে কার্ফু দিতে হবে। তা না হলে অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাবে।
খুলনা জেলা করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গঠিত কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানান, খুলনা জেলার কয়েকটি স্থানে রেডজোন এবং লকডাউন করার জন্য প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে দোকানপাট, শপিং মল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ঈদের পর থেকে ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জের লোকজনসহ অন্যান্য জেলা থেকে খুলনায় মানুষ প্রবেশ করায় পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। সূত্র : সময়ের খবর