খুলনার কয়রায় ফোন করলেই খাদ্যসামগ্রী নিয়ে দরজায় হাজির হ্যালো ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
সুন্দরবন সংলগ্ন কয়রা উপজেলায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সংখ্যা অনেক। নিম্নবিত্তরা লাইনে দাঁড়িয়ে ত্রাণ নিতে পারলেও মধ্যবিত্তরা লজ্জায় লাইনে দাঁড়াতে পারছেন না। আবার করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে খাবার না থাকায় বিপাকে পড়ছেন মধ্যবিত্ত পরিবারের কর্মহীন মানুষেরা। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে উদ্যোগ নিয়েছে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ। কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে গঠিত ওই টিমের হট নাম্বারে ফোন করলেই খাদ্য সহায়তা নিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হ্যালো ছাত্রলীগের হট নাম্বারে কল করায় কয়রা উপজেলার সদর ইউনিয়নের প্রায় ৩০টি পরিবারের ঘরে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা। এ সময় খাদ্য সহায়তা পেয়ে বেশ খুশি হতদরিদ্র ওইসব পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে কয়রা উপজেলার কর্মহীন অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যদেরকে খাদ্য সহায়তা প্রদানের জন্য একটি উদ্যোগ গ্রহণ করে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ।
খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আক্তারুজ্জামান বাবু’র নির্দেশে কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ শরিফুল ইসলাম টিংকু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক বাদল, সহ-সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা শেফারসহ ৬ জন এবং পাইকগাছা উপজেলায় ছাত্রলীগের ৫ জনের মোবাইল নম্বর দিয়ে হটলাইন চালু করা হয়েছে। বিষয়টি দলের নেতাকর্মীদের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় প্রচার করা হয়েছে।
নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত বা করোনার কারণে কর্মহীন যে কোনো লোক মোবাইল করলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনের বেলায় তাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখে। সন্ধ্যায় তার দেওয়া খাদ্য সামগ্রী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসে। খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ২৫০ গ্রাম পেঁয়াজ ও অর্ধ লিটার সয়াবিন তেল। এর সাথে থাকছে মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি।
গত ১০ দিনে পাইকগাছা উপজেলায় ৬৫০ জন ও কয়রা উপজেলায় ৫৫০ জনের বাড়িতে এই খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ জনের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামান বাবু ব্যক্তিগত তহবিল থেকেই তিনি এসব সামগ্রী দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।