শেষ ২৪ ঘণ্টায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে ৮০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ ল্যাবে এটিই একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক করোনা শনাক্তের রেকর্ড।
শনিবার (১৩ জুন) রাতে খুমেক হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আমাদের পিসিআর ল্যাবে এদিন সর্বাধিক ২৮৪টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে ৮০ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। সংগৃহীত নমুনার মধ্যে খুলনা জেলার ছিল ১২৪টি, সেখান থেকে ৪৫ জনের করোনা পজিটিভ মিলেছে। এছাড়া বাগেরহাটের ৭টি, সাতক্ষীরার ৪টি, যশোরের ১৩টি, ঝিনাইদহের ৯টি, মাগুরার ২টি নমুনায় পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
খুলনা মহানগর এলাকায় আক্রান্তরা হরেনঃ নগরীর বানিয়াখামার এলাকার মোঃ মিজানুর রহমান (৫৫), আসলাম (৫৫), আখি (২২) ও রাজ (৩০), সাউথ সেন্ট্রাল রোডে শামিন (১০) ও তানিশা (৩), ২৮ বিকে রোডে মোঃ নাসির উদ্দিন (৬৮), ময়লাপোতা এলাকার মোঃ আবুল হোসেন (৬৬), শেখপাড়ায় আলী দেওয়ান (৪৫), ৫৩৫/২১ মুজগুন্নি মেইন রোডে নুর (১৯) ও মোজাম্মেল হক (৪৬), ১০ মুসলমানপাড়া ইলিয়াস আহমেদ (৬০) ও নাঈম (২০), ইলসাপাড়ার কোহিনূর (৬০), বকসিপাড়ার এম এ সালাম (৬১), ওবায়দুল খান (বয়স-২৯, ঠিকানা লেখিনি), খালিশপুর সেন্ট্রাল রোডে খন্দকার রইজ উদ্দিন (৬৬), ক্রিসেন্ট আবাসিকের ইমদাদদুর হাবিব (৪১), সারগাজিতে আদিবা (১৭), দৌলতপুর দেয়ানার আশিকুর (২০), গল্লামারীতে মিজানুর (৩০), নতুনবাজার বাশপট্টিতে রুবেল আহমেদ (২৩), ৪৭৩/২৮ নিরালা আবাসিকের (তিনজন) মনিরা সুলতানা (৩৮), সাদ্দাম বিন সাখাওয়াত (১১) ও ফারসিনা খাতুন (৩৫) এবং বাগমারা এলাকায় আব্দুর রশিদ (৩৫)।
খুলনার পাঁচ উপজেলায় আক্রান্তরা হলেনঃ পাইকগাছার কপিলমুনির আব্দুল মান্নান সরদার (৮৮)। বটিয়াঘাটার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হাসপাতাল কোয়ার্টারের জয়ন্তি রানি বিশ্বাস (৪৯) ও এস এম সুলতান মাহমুদ (৪৫)। তেরখাদার (চার জন) মোঃ নাঈম মোল্লা (২০), সুমাইয়া (২৩), শিশু মোঃ তানভীর (৩.৬), জুনায়েত (৩২)। দিঘলিয়া উপজেলার (চার জন) সেনহাটিতে অহনা (১১), খাদিজা পারভীন (৪০), গরমগাটিতে মোঃ হাবিব (৩০), আতিয়ার মোল্লা (৫৫)। রূপসা উপজেলায় (ছয় জন) শিরগাতিতে তাসলিমা (৬০), নাবিদ হাসান (১২), মিথি (১৪), রুমা খানম (২৪) ও শেখ রেজাউল ইসলাম (৩৯), সেনের বাজারে রবিন (৪০)।
জেলার করোনা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, প্রতিনিয়ত খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তবুও মানুষের মাঝে পর্যাপ্ত সচেতনতা দেখা যাচ্ছে না। অকারণে অনেকেই বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। এতে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। নারীদের তুলনায় পুরুষদের বেশি আক্রান্ত হওয়ার মূল কারণ হলো বাইরে ঘোরাঘুরি করা।
এর আগে শুক্রবার (১২ জুন) খুমেক ল্যাবে এর আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। একদিনের ব্যবধানে সে রেকর্ড ভেঙে গেলো।
গত ১৩ এপ্রিল মহানগরের করীমনগর এলাকায় খুলনায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়। সরকারি হিসেবে করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রথম কেউ মারা যান গত ২১ এপ্রিল। তিনি রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।