সাতক্ষীরা থেকে করোনা টেস্টের জন্য এ পর্যন্ত ৪৭২ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে। ৩২০ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। ১৫২ জনের রিপোর্ট শীঘ্রই পাওয়া যাবে। এদের মধ্যে ৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। সাতক্ষীরা সদরে ১ জন, দেবহাটায় ১ জন এবং তালায় ১ জন করোনা পজিটিভ পাওয়া গিয়েছে। জানা মতে, তারা সকলে আইসোলেসনে আছেন এবং সুস্থ আছেন।
করোনা চিকিৎসা চিত্রঃ
সাতক্ষীরাতে সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ৮ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে ২৪ টি । সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৬৩১ টি এবং বেসরকারি চিকিৎসা কেন্দ্রে বেডের সংখ্যা ৪২০ টি । কোভিড-১৯ চিকিৎসায় প্রস্তুতকৃত বেড ৫৪ টি । সাতক্ষীরাতে সরকারি ডাক্তারের সংখ্যা ১২৩ এবং বেসরকারি ডাক্তার ১৩০ জন ও সরকারি নার্সের সংখ্যা ২৮৯ জন এবং বেসরকারি নার্সের সংখ্যা ২৪০ জন্ । ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) মোট ৬২৩৬ টি হতে ৪৫৯৪ টি বিতরণ করা হয়েছে।
চিকিৎসা সরঞ্জাম
কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যাক্তির চিকিৎসায় ০৩ টি এ্যাম্বুলেন্স সার্বক্ষণিক প্রস্তুত আছে, ৮ টি ভেন্টিলেশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে, ২০ অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং ২০ টি নেবুলাইজার প্রস্তুত রয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে করোনা হাসপাতাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, চিকিৎসকদের কোয়ারেন্টাইনের জন্য মোজাফফর গার্ডেন রিসোর্টকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
হোম ও প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারিন্টিন চিত্র
গত ২৮ দিনে আক্রান্ত ৬ জেলা থেকে লক ডাউনের মধ্যেও যারা ফিরে আসছেন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক এবং হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ২৯ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ২০৭৪ জনকে বাড়িতে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ৫ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ১০৩৭ জন হোম কোয়ারেন্টিনে , দেবহাটা উপজেলায় ৫ জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এবং ২৬৯ জন হোম কোয়ারেন্টিনে, আশাশুনি উপজেলায় ৩৬৫ জন হোম কোয়ারেন্টিনে, শ্যামনগর উপজেলায় ২০০ জন হোম কোয়ারেন্টিনে, কলারোয়া উপজেলায় ২০৩ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদেরকে গ্রাম কমিটি গঠনের মাধ্যমে ঐসকল জেলা থেকে বাড়িতে আগত ব্যাক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন জোরদার করতে জেলা প্রশাসক নির্দেশনা দিয়েছেন।
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় হতে প্রাপ্ত, বিতরণ ও মজুদ
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ত্রাণ কার্য (নগদ) হিসেবে মোট ৮০,৫০,০০০/- টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে । এর মধ্যে ৬৬,১০,০০০/- টাকা বিতরণ করা হয়েছে এবং বর্তমানে মজুদ আছে ১৪,৪০,০০০/- টাকা । এছাড়া ত্রাণ কার্যে ১৬০০.০০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৩০০.০০০ মেট্রিক টন এবং বর্তমানে মজুদ আছে ৩০০.০০০ মেট্রিক টন চাউল । শিশু খাদ্যক্রয় বাবদ বরাদ্দ ২০,০০,০০০/- টাকা । যার মধ্যে বিতরণকৃত ১৫,৯৯,৯৩১/-টাকা এবং মজুদ আছে ৪,০০,০৬৯/- টাকা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলাতে ২২৫ মেঃ টন চাল, ৯,৮৩,৫০০/- টাকা নগদ অর্থ ও ২,৮০,৪৫৬/- টাকা শিশু খাদ্য বাবদ বিতরণ করা হয়েছে । কলারোয়া উপজেলাতে ১৪২ মেঃ টন চাল, ৭,১৫,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৫৯,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । তালা উপজেলাতে ১৬৩ মেঃ টন চাল, ৮,২৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬১,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । আশাশুনি উপজেলায় ১৫১ মেঃ চাল, ৮,১৮,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬১,৮৭০/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । দেবহাটা উপজেলায় ৯৬ মেঃ টন চাল, ৫,৫৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,১৯,৫৮৬/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৫৪ মেঃ টন চাল, ৭,৯৪,৫০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৬৮,৪৪৮/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । শ্যামনগর উপজেলায় ১৭৬ মেঃ টন চাল, ৮,৯০,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ২,৮০,৪৫৬/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । সাতক্ষীরা পৌরসভায় ১৪২ মেঃ টন চাল, ৭,৫৭,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ১,৯৫,৪৯৫/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে । কলারোয়া পৌরসভায় ৫১ মেঃ টন চাল, ২,০৮,০০০/- টাকা নগদ অর্থ, ৭৯,৭২৪/- টাকা শিশু খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে ।
বেসরকারি ত্রাণ কার্যক্রম
সাতক্ষীরা জেলার ৪ জন মাননীয় সংসদ সদস্য নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে নিজেরা ত্রাণ সহায়তা চালিয়েছেন এবং মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। জেলা প্রশাসক স্বল্প পরিসরে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে কিছু মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। জেলা প্রশাসন ইফতার মাহফিলের বাৎসরিক ব্যয়ে এবার কর্মহীন ২০০ পরিবারের মাঝে আজ খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে। জেলা পুলিশ নিজস্ব অর্থায়নে ব্যাপকভিত্তিক ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যাক্তি প্রতিষ্ঠান ত্রাণ সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। প্রত্যেক ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক দান অনুদানের একটি ডাটাবেসের কাজ চলমান রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ জেলা সদর ও বিভিন্ন উপজেলায় অসহায় কর্মহীন মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। এছাড়াও, বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দল ও অঙ্গসংগঠনসমূহ মানুষের পাশে ত্রাণ নিয়ে দাঁড়িয়েছেন। জেলা পরিষদ জেলা সদরে এবং উপজেলাভিত্তিক সদস্যের মাধ্যমে নিজস্ব অর্থায়নে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন। সাতক্ষীরার বাস-মিনিবাসমালিক সমিতির নিজস্ব অর্থায়নে ৫,৬০,০০০ টাকায় ১০০০ জন বাস-মিনিবাস শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক মালিক সমিতির অর্থায়নে ১৫৫০ জন ট্রাক শ্রমিকের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আহবানে সাড়া দিয়ে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান। সিটি ব্যাংকের সৌজন্যে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবে কর্মহীন ৫৫২ পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল এর ব্যবস্থাপনায় সাতক্ষীরার আরা সংস্থার বৃদ্ধাশ্রমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
বেসরকারি ত্রাণ তহবিলের তথ্যঃ
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর অফিসে ত্রাণ তহবিল খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ত্রাণ তহবিলে জেলা প্রশাসকের ঈদ বোনাস, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ, জেলা কৃষি বিভাগ তাদের ১ দিনের বেতন সমপরিমান অর্থ ত্রাণ তহবিলে আর্থিক সাহায্য হিসেবে প্রদান করেছেন। সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার শেখ মুজিবুর রহমান ১ লক্ষ টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় বেসরকারি ত্রাণ তহবিল গঠন করা হয়েছে। উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাদের একদিনের বেতন সমপরিমাণ অর্থ, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যগণ তাদের বেতন এবং প্রবাসী ও ধর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীগণ তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী সাহায্য প্রদান করছেন। এ জেলাতে বেসরকারি ত্রান তহবিলে মোট আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ ৪৬,৬৫,০০০/- টাকা । আশাশুনি উপজেলায় ১১,৮৪,০০০/- টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ৩,৭০,০০০/- টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১৬,০০,০০০/- টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ৭,২০,০০০/- টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ১,৪৩,০০০/- টাকা, তালা উপজেলায় ৪,৭৪,০০০/- টাকা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১,৭৪,০০০/- টাকা আর্থিক সহায়তা পাওয়া গেছে ।
জেলার সামগ্রিক প্রচারণা ও ভ্রাম্যমান বাজারের চিত্র
সাতক্ষীরা জেলায় মোট ৩,৯৭,৫৭০ টি লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে । প্রতিদিন করনা মোকাবেলায় জনসচেতনতার জন্য জেলায় ৩০৪ টি প্রচারণা মাইকের কার্যক্রম চলমান রয়েছে । প্রতিদিন বিভিন্ন উপজেলাতে ৩১৫ টি জীবানুনাশকস্প্রে মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হচ্ছে । জেলাতে মোট ২৭৭ টি ভ্রাম্যমাণ বাজার স্থাপন করা হয়েছে এবং ৩৯ টি ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু আছে। এছাড়া, ১৫৬ টি বাজার স্থানাতর করা হয়েছে।
মোবাইল কোর্টের তথ্য
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, আনসার ও র্যা ব সদস্যগণ সহায়তা করছেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও সরকারি আদেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং বিনা প্রয়োজনে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করার অপরাধে জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন অভিযানে সর্বশেষ তথ্যমতে ১৪ মামলায় ১০ জন ও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৭০০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে আশাশুনি উপজেলায় ৪ টি মামলায় ৯০০ টাকা, দেবহাটা উপজেলায় ০ টি মামলায় ০০ টাকা, কালিগঞ্জ উপজেলায় ১ মামলায় ৫০০ টাকা, শ্যামনগর উপজেলায় ০ টি মামলায় ০০ টাকা, কলারোয়া উপজেলায় ০ মামলার ০ টাকা, তালা উপজেলায় ৭ টি মামলায় ৩২০০ টাকা, সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় ১ টি মামলায় ২০০ টাকা, এবং জেলা প্রশাসনের ৩ মামলায় ২২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধে ২৩৬০ টি মামলায় ২১৮৬ জন ব্যাক্তি ও ১৯৪ টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫,২৯,১৩৭ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রমজান চিত্র
মাহে রমজান উপলক্ষে ১৬ টি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু হয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৬.১৫ পর্যন্ত এই ভ্রাম্যমাণ ইফতার বাজার চালু থাকবে। মাহে রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ নিবিড় বাজার মনিটরিংয়ের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে টিম গঠন করা হয়েছে। মোবাইল কোর্টের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির অপতৎপরতাযুক্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাজার এলাকায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করা হয়েছে। ৯ টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সর্বদা দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে কাজ করে যাচ্ছেন।
টিসিবি কার্যক্রম
কালিগঞ্জে আশা এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই এন্টার প্রাইজ এখন পর্যন্ত তেল ২৩,৮০০ লি, ডাল ৪০০০ কেজি, ছোলা ১৭০০০ কেজি, চিনি ২৩০০০ কেজি, খেজুর ৩০০ কেজি টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। কলারোয়ায় শহীদ বীজ ভা-ার, জাহিদ ট্রেডার্স, স্বপ্নিল স্টোর এখন পর্যন্ত চিনি ১৬০০০ কেজি, তেল ২০৫০০ লিটার, ডাল ২৫০০ কেজি, ছোলা ১২,৫০০ কেজি, খেজুর ২৪০ কেজি টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। সাতক্ষীরা সদরে মেসার্স হাজী ট্রেডার্স, মেসার্স আয়ুব এন্টারপ্রাইজ এখন পর্যন্ত সয়াবিন তেল-৫০০০ লি:, চিনি- ৩,৬০০ কেজি, মসুর ডাল- ১,২০০ কেজি, ছোলা-৩,০০০ কেজি, খেজুর-১৮০ কেজি মালামাল বিতরণ করেছে।শ্যামনগরে সোয়াবিন ২৩৫০০ লিটার, চিনি ১৬০০০ কেজি, ছোলা ১১৫০০ কেজি, মশুর ডাল : ৩২০০ কেজি, খেজুর : ৩৩০ কেজি টিসিবি পণ্য বিতরণ করেছে। তালায় মেসার্স কল্লোল এন্টারপ্রাইজ,মেসার্স শেখ ট্রেডার্স এখন পর্যন্ত চিনি ১৪,০০০ কেজি, ডাল ২৮০০ কেজি, সয়াবিন তেল ২১,০০০ কেজি, ছোলা- ৭০০০, খেজুর -১২০ কেজি মালামাল বিতরণ করেছে। দেবহাটায় বৈশাখী এন্টারপ্রাইজ এখন পর্যন্ত চিনি ৩২৫০০ কেজি, ডাল ৬১০০ কেজি, সয়াবিন তেল ৪৭,০০০ কেজি, ছোলা- ১২১০০ কেজি, খেজুর ২৭০ কেজি মালামাল বিতরণ করেছে। আশাশুনিতে আগামিকাল থেকে টিসিবি পণ্য বিক্রি করা হবে।
কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণঃ সর্বমোট ৯২৩২৩
সাতক্ষীরা জেলার সকল উপজেলায় কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা অব্যাহত আছে। এখন পর্যন্ত কর্মহীন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ৯২৩২৩ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। তন্মধ্যে, বাস পরিবহন শ্রমিক ৫৮৬৬ জন, স্থলবন্দর শ্রমিক ২২০০ জন , ইজি বাইক চালক ২৭২৩ জন, ভ্যান চালক ১০,৩২৮ জন, মাহিন্দ্র চালক ১,৬৮০ জন, দিনমজুর ১৫,২৬৬ জন ও কৃষি শ্রমিক ৪,৩৩০ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, নরসুন্দর ১২৭১ জন, হরিজন ১,৯১৮ জন, পরিছন্ন কর্মী ১,২১৪ জন, হিজড়া ১৭৯ জন, বেদে ৬২৯ জন, মুন্ডা ৬৯৩ জন, প্রতিবন্ধী ৬,৫৪৬ জন, চা দোকানি ৪,৪৯০ জন, মধ্যবিত্ত ২৬,৮৭৬ জন, জেলে ৪,৬০৭ জন, ঋষি ১,৫০৭ জনকে সরকারি সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে ।
সাতক্ষীরা জেলার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভুক্ত উপকারভোগীর তথ্য
সাতক্ষীরা জেলায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতাভূক্ত উপকারভোগীর সংখ্যা মোট ১১,০৪,০৪৮ জন (১ পরিবার= ৪ জন ধরে) । যার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা ২,৩১০ জন, বয়স্ক ভাতা ৬৮,৭২৬ জন, বিধবা ভাতা ৩১,৬৬৪ জন, প্রতিবন্ধি ভাতা ২৭,৫৭৪ জন, অনগ্রসর ভাতা ৭৭২ জন, হিজরা ভাতা ৩৪ জন, ওএমএস ৬,০০০ পরিবার, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ১,২৮,৮৩১ পরিবার, ভিজিডি কর্মসূচি সুবিধাভোগী ২০,৯১১ পরিবার এবং ত্রাণ জিআর কর্মসূচির সুবিধাভোগী পরিবার রয়েছে ৮৭,৫০০ টি ।
এনজিও কার্যক্রমঃ
এনজিও উত্তরণ ৭ উপজেলায় ৩০০ স্বেচ্ছা সেবক ফিল্ড পর্যায়ে সচেতনতা মুলক কাজ করছে। হাসপাতালগুলোতে ওয়াশ ব্লক ০১টি, পিপিই-২৭৩ টি, সাবান-১২৪১৯১ টি, হ্যান্ড ওয়াশ-১৯০৯৯, সান গ্লাস, টিস্যু, নেবুলাইজার-২০ টি, এসপ্রে মেশিন সহ হাইজিন কিট বিতরণ করেছে; সাতক্ষীরা জেলায় ৩৮ টি অক্সিজেন সিলেন্ডার প্রদান করেছে। ব্র্যাক ৪৩৬৫ পরিবারকে ১৫০০ টাকা করে প্রদান এবং ২৫৫৯ যক্ষা রোগী পরিবারকে সচেতন করেছে। এছাড়া, ৭৯ জন প্রতিবন্ধিকে ১৫০০ টাকা ত্রান সহায়তা এবং লিফলেট বিতরণ করেছে। সুশীলন সাতক্ষীরা জেলায় ৮৯০ জন ভলেন্টিয়ার দিয়ে সচেতন কার্যক্রম করছে, ৭৬৬৯ টি পরিবারকে নগদ অর্থ বিকাশের মাধ্যমে প্রদান করেছে। সমগ্র জেলায় ৭০২ জন ভলেন্টিয়ার নিয়োগে কাজ করছে। নওয়াবেকি গণমুখি ফাউন্ডেশন লিফলেট, ব্যানার ও ফেস্টুন বিতরণ করেছে। এছাড়া, ত্রান সামগ্রী বিতরণ ৪,৭৬,৬৭৩ টাকার এবং নগদ অর্থ বিতরণ ৪,৯০,০০০ টাকার কার্যক্রম চলমান আছে।
বিশেষ প্রচারণা
জেলার মাননীয় জাতীয় সংসদ সদস্যগণ ফেসবুক লাইভে জনগণকে সচেতন থাকতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উদ্বুদ্ধ করেন। জেলা প্রশাসক প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ফেসবুক লাইভ এবং লোকাল ক্যাবল টিভি লাইভে সর্বশেষ জেলার করোনা পরিস্থিতি, ত্রাণ কার্যক্রম ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালা জনগণেরর সামনে তুলে ধরেন। জেলার সার্বিক করোনা সংক্রান্ত কার্যক্রম প্রতিদিন প্রেসনোট আকারে সরকারের র্ঊর্ধ্বতন মহল এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অবহিত করেন। ফেসবুকের মাধ্যমে সার্বক্ষনিক প্রচারণা চালিয়ে যান । জেলা পুলিশ সুপার প্রয়োজনানুসারে ফেসবুক ও লোকাল ক্যাবল চ্যানেলে আইনশৃঙ্খলাসহ করোনা সংক্রান্ত পুলিসী কার্যক্রম তুলে ধরা এবং জেলার করোনা পরিস্থিতি সংক্রান্ত মানুষের জিজ্ঞাসার সরাসরি উত্তর দেন। সিভিল সার্জন ফেসবুকে সর্বশেষ করোনা আপডেট প্রদান করেন এবং নিরাপদ থাকতে করনীয় ফেসবুক লাইভে তুলে ধরেন। জেলার সকল প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং অনলাইন পোর্টাল সমূহ জেলার সর্বশেষ অবস্থা এবং করোনা প্রতিরোধে সকল ইতিবাচক এবং জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম তুলে ধরেন। ফলে জেলার সার্বিক পরিস্থিতি ও গৃহীত কার্যক্রম জেলাবাসী, দেশবাসী ও বিশ্ববাসী জানতে পারেন।