আজ || বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শিরোনাম :
  পেট্রোবাংলায় তিতাসের কর্মীদের হামলা-ভাঙচুর       সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত       ফকিরহাটে পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪       ঠাকুরগাঁওয়ে বিএসএফের গুলিতে জয়ন্ত কুমার নামে বাংলাদেশির মৃত্যু       ১১১ বারের মতো পেছালো সাগর-রুনি হত্যা মামলার প্রতিবেদন       কেসিসি’র নাগরিক সেবা কার্যক্রম জোরদার ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষে কাউন্সিলরদের সমন্বয় সভা       আ’লীগ দেশ ও জাতির শত্রু তাদের ক্ষমা করার কোন সুযোগ নেই : আজিজুল বারী হেলাল       খুলনায় ফের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং : খালিশপুরে গ্যাংস্টার সাহাদ বাহিনীর হামলায় আহত ৩       সাতক্ষীরায় সাবেক দুই এমপি ও এসপিসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা       ‘পেটে বাবু আছে, মাইর না’ বলেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ    
 


কেশবপুর খাদ্যগুদামে ধান বিক্রিতে আগ্রহ নেই কৃষকের !! লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা

কেশবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামে ধান বিক্রির কোনো আগ্রহ নেই কৃষকের। যার কারণে খাদ্যগুদে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশাংখা দেখা দিয়েছে।

কেশবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল কুমার মন্ডল জানান কেশবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামে চলতি মৌসুমে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হলো ১ হাজার ৬শ ৭৩ মেঃ টন। সরকারি ক্রয় মূল্য মন প্রতি ১ হাজার ৮০ টাকা। গত ৯ মে গুদামে ধান ক্রয় শুরু হয়। কিন্তু গুদামে ধান বিক্রিতে কৃষকদের কোনো আগ্রহ নেই।

কেশবপুরে ধানের বর্তমান বাজার দর ও সরকার- নির্ধারিত মূল্য কাছাকাছি ক্ষেত্রবিশেষ মূল্য বেশি হওয়ায় কৃষকরা গুদামে ধান দেওয়ার ঝক্কিঝামেলা পোহাতে চান না কৃষক। কেশবপুরে কৃষি অ্যাপের মাধ্যমে ধান ক্রয় চলছে। আগ্রহ কম থাকায় আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ধান কেনা চলছে।

সুত্র আরো জানান গত ২৭ মে পর্যন্ত গুদামে ধান ক্রয় হয়েছে মাত্র ২৩৯ দশমিক ৯২০ মেঃটন। কেশবপুর উপজেলা কৃষি অধিদফতর সুত্র আরো বলেন চলতি বোরো মৌসুমে আবাদের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জিত হয়েছে বেশি। লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪ হাজার হেক্টর জমি। আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে। অনুকূল আবহাওয়া এবং সরকারের দেশের কৃষকের প্রতি আন্তরিক হওয়ায় কৃষক সফল ভাবে মাঠের ধান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে। কেশবপুরে চলতি মৌসুমে ধান থেকে চাউল উৎপাদন হয়েছে (সরকারি মূল্য অনুযায়ী) ২৮৩ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার চাউল উৎপাদন নির্ধারণ হয়েছে।

উপজেলার বাগদাহ গ্রামের খান তসির উদ্দিন জানান কেশবপুরের ৮০ ভাগ কৃষক উচ্চ ফলনশীল হাইব্রিড চিকন ধানের আবাদ করেছে বেশি। আর বাজারে চিকন ধানের মূল্য পেয়েছি ১১শ ৫০ টাকা থেকে ১১শ ৮০ টাকা। গুদামে ধান ক্রয়ের কম। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকা ঝক্কিঝামেলা পোহাতে হয়।

এই জন্য গুদামে ধান বিক্রির প্রতি কৃষকের কোনো আগ্রহ নেই। যার কারণে খাদ্যগুদামে ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশংকা থেকেই যায়। তবে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা সুনীল কুমার মন্ডল বলেন আগামি ১৬ আগষ্ট মাস পর্যন্ত ধান ক্রয়ের সময়ে আছে এর মধ্যে বিভিন্ন উপায় ম্যানেজ করে প্রয়োজনে মোটা ধান নিয়ে ক্রয়ের টার্গেট কভার করা হবে।


Top